দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা প্রতারণা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের অন্য মোড়, দলের লোকের চক্রান্ত দাবি রাজা রামমোহন সরদারের

সুশান্ত ঘোষ, বাগদা, ৪ নভেম্বর: করোনা মহামারির সময় এবছর পুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজা রামমোহন সরদারের বিরুদ্ধে। তা প্রকাশিত হয়েছিল “আমাদের ভারতে।” ঘটনার কয়েক দিন পর, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজা রামমোহন সরদারের নামে ওঠা এই অভিযোগ, দলেরই কোনও এক নেতার চক্রান্ত। তা প্রমান করে “আমাদের ভারত ডট কমের” প্রতিনিধির হাতে তুলে দিয়েছেন বাগদার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজা রামহনবাবু।

বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজা রামমোহন সরদার বলেন, পুজো কমিটির সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ দাবী করে যারা অভিযোগ করছিলেন তারা আদতেও পুজো কমিটির পদাধিকারী সদস্য কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন আছে। তিনি আরও বলেন, কোনও রেজুলেশন, বিদ্যুৎ দমকল, বা পুজোর কোনও অনুমতিই নথি জমা দিতে দেরি হওয়ায় চেক আসতে দেড়ি হয়েছে। তার আগেই কোনও এক নেতা আমার নামে চক্রান্ত করে ভাষান রায়, মনিতোষ রায়, খোকন রায় দের দিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন। পরে যদিও তাঁরা স্বীকার করেছেন কে করিয়েছে। তার প্রমানও আমাদের কাছে আছে। অভিযোগকারীরা জানিয়ে ছিলেন পুজো কমিটির টাকা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাজা রামমোহন সরদারের ব্যাঙ্ক একাউন্টে এসেছে। এই কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পুজো কমিটির সম্পাদক ছিলাম। পুজোর কমিটির সমস্ত নথি আমার নামে থাকায় চেকটিও আমার নামে এসেছে। চেক হাতে পাওয়ার আগেই আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে দাবি রাজা রামহন সরদারের। তিনি বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের থেকে কোনও নেতৃত্ব উঠে আসুক তা অনেকে চাননা। আমি স্থানীয় স্তরে মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি ওই দিন রাতে টাকা দিয়ে তিন জনকে থানায় পাঠিয়ে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে স্বঘোষিত আঞ্চলিক সভাপতি দিপক ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিপক ঘোষ নিজে গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরেছেন, আর আমরা যারা জিতেছি তাদেরকে কালিমালিপ্ত করে বিজেপির হাত কে শক্ত করছেন।

আঞ্চলিক যুব তৃনমূল সভাপতি কংকন হালদার বলেন, পুজো কমিটির সম্পাদক ছিলেন রাজা রামমোহন সরদার। তাকে রাজনৈতিক ভাবে কালিমালিপ্ত করার জন্য দলেরই এক স্বঘোষিত নেতা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের হওয়ার কারনেও রাজা রামমোহন সরদারকে চক্রান্ত করা হয়েছে। যে চেক এখনও ক্যাশ হয়নি সে টাকা চুরি হয় কি করে? রাজা রামমোহন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ব্লক স্তরের অন্যতম নেতা। তাকে কালিমালিপ্ত করে তৃনমূল কংগ্রেসের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনও লাভ হবেনা তৃনমূল কংগ্রেস গঙ্গার মতো পবিত্র। এই সব নেতারা তৃণমূলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। দল অবশ্য ব্যবস্থা নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *