মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা, ধৃত ১৩

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৬ অক্টোবর: দিনের পর দিন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা করা হত। বিশেষ করে কলকাতা শহর লাগোয়া জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছ থেকে মোটা টাকা প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। আর এই প্রতারণা চক্রের হদিস পেয়ে কলকাতার সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পাশেই একটি বহুতল থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার প্রচুর মোবাইল, নতুন সিমকার্ড, ল্যাপটপ, কম্পিউটার।

পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়িতে বা জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করা হত এক একজনের কাছ থেকে। সেই প্রতারণা চক্র সোনারপুর থানার হাতে ধরা পড়ে। গ্রেফতার হয় মোট ১৩ জন। সল্টলেক থেকে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেক্টর ফাইভে ইসিপিএস থানার পাশেই রীতিমতো অফিস খুলে চলছিল এই প্রতারণার ব্যবসা।

একটি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার বসানোর নাম করে বিভিন্ন লোককে ফোন করা হত। টাওয়ার বসালে ২৫ লক্ষ টাকা ও চাকরির অফার দেওয়া হত। যে রাজি হত তাকে বিভিন্ন কাজের প্রসেসিং ফি- এর নাম করে ও অন্যান্য পদ্ধতি দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করত এই সংস্থা। এই কোম্পানীতে মোট ১২০ জন কাজ করত। লক্ষাধিক প্রতারকের নাম পেয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন নামি ইন্সুইরেন্স কোম্পানির নাম করেও প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিও জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

মগরাহাটের বাসিন্দা রাজেন্দ্র পাল নামে এক ব্যক্তির সোনারপুরে জমি থাকায় তাঁকে ফোন করেছিল এই সংস্থার কর্মীরা। তাঁকে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা ও চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হয়। এ বিষয়ে তিনি সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে এই চক্রকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঐ প্রতারণা চক্রের অফিস থেকে ৭০টি মোবাইল ফোন, ৩০টি ল্যান্ডফোন, ৩টি ল্যাপটপ, ২টি কম্পিউটার, ৫০টির মত সিলপ্যাক সিমকার্ড ও দেড়লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *