অদিতি চক্রবর্তী, আমাদের ভারত, ৮ ডিসেম্বর: শিক্ষা ও শিক্ষক দুইই সমাজের ভীত। শিক্ষা ব্যাবস্থাকে পরিচালনা করে জ্ঞান চরিত্র দিয়ে নির্দেশনা দেন একজন শিক্ষক। ২০১০ সালের আগে একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতো, যেভাবে হোক স্নাতক স্তর পেরিয়ে, B.Ed করে গর্বের সাথে বলতে পারতো আমি শিক্ষক হব। এটাই ছিল সমাজের মেরুদণ্ড তৈরী করার স্পষ্ট প্রমাণ। কিন্তু ২০১০ সালের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার গোড়ায় দিন দিন পচন ধরতে আরম্ভ করলো। এক অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহায় হারিয়ে যেতে থাকলো পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
১. অস্বচ্ছ প্রশ্নপত্র প্রক্রিয়া, পেপার লিক হয়ে যাওয়া।
২. মেধা তালিকা বদলে যাওয়া
৩. অদৃশ্য মধ্যস্থতাকারী
৪. ঘুষের বাজার
৫. প্রশাসনিক গোলমেলে নির্দেশ
এবং শেষ অবধি, অসহায় শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের ভরসা হারানো। অন্তিম পর্যায়ে সারা রাজ্যের শিক্ষার কেন্দ্র বিন্দুকে নড়বড়ে করে দেওয়া।
এই ঘটনা কেবল সাময়িক দুর্নীতি নয়, এখান থেকে শুরু হয়ে সেটা এখন পাহাড় প্রমাণ আকৃতি নিয়েছে। এইখানে সমাজ বিজ্ঞান, প্রশাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি, সব কিছুর মিশ্রণে সমাজ ব্যবস্থার স্তম্ভগুলো এক এক করে ভেঙ্গে পড়ে।
এর পাশাপাশি ২০০৯ – ১০ সালের CAG রিপোর্টে বাম আমলের অস্বচ্ছ চাকরি হস্তান্তরের এক নতুন দুর্নীতি সামনে আসে। বর্তমান শাসক দল আঙুল তোলে বামপন্থীদের দিকে। ৩৪ বছরের শাসন কালে এক সিস্টেমের সূচনা করেছিলো তৎকালীন বাম সরকার। যারা বামপন্থী, তাদের পরিবারের যত জন সদস্যই থাক না কেন তারাই সরকারি চাকরি পেত, যোগ্যতা থাক বা না থাক। CAG অর্থাৎ ক্যাগ রিপোর্ট পেশের পর দেখা যায়:
১. মোট চাকরি প্রার্থী, ৪ লক্ষ ৬ হাজার ১৪৭।
২. অ্যাকাডেমিক স্কোরে গরমিল – ৪৬ হাজার ৬৪৭ জনের
৩. নম্বর বাড়ানো হয়েছে – ৩২ হাজার ৯৭০ জনের।
৪. নম্বর কমানো হয়েছে – ১৩ হাজার ৬৭৭ জনের,
৫. প্যানেল ভুক্ত ২ হাজার ৪৮৩ জনের মূল নম্বরের সাথে মিলছে না অডিটর নম্বর।
এই দুর্নীতির অভিযোগের উত্তরে বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বাম আমলে যদি অস্বচ্ছ চাকরি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে, তাহলে ২০১৭ – ১৮ সালে CAG report যখন তৃণমূল সরকারের হাতে আসে, তখন তাহলে কেন সংশোধন করা হয়নি?
তবে এতে করে বর্তমান শাসক দলের মারাত্মক চাকরি দুর্নীতির অপরাধ হ্রাস পায় না কোনভাবেই।
অধ্যায় – ১. পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ ও তার বিকৃত ইতিহাস।
শিক্ষকদের চাকরি কেবল মাত্র চাকরি নয়, এটা ছিল মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, স্থিতিশীলতা, সম্মান। ভারতের বহু জায়গায় বেকারত্বের ঝড় উঠলেও পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকদের কার্যক্রম ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নিয়মিত বেতন, সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান।
কিন্তু ২০১০-এর পর বেকারত্ব যখন বেড়ে যায়, সরকারী চাকরির চাহিদা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে, ঠিক তখন নিয়োগ ব্যবস্থাকে ঘিরে চাপ এবং দুর্নীতি মাথাচাড়া দিতে আরম্ভ করে।
পশ্চিমবঙ্গের মতো জনবহুল রাজ্যে যেখানে প্রতি মুহূর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লাখ লাখ আবেদন জমা পড়ে, সেখানে ভরসা, আশ্বাস এবং স্বচ্ছতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু এই চাহিদাকে কেন্দ্র করে যে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়, সেখান থেকেই জন্ম নেয় দুর্নীতির নতুন রূপ। সবটাই রাজ্যের মানুষের কাছে আকস্মিক হলেও, এই পুরো ব্যবস্থাতে ঘুণ ধরানো হয়েছিলো ইচ্ছে করেই।
অধ্যায় ২: ২০১০–২০১৩ — ভাঙনের প্রথম ধাপ।
২০১০ সালের আগেও অভিযোগ আসা শুরু হয়েছিলো, কিন্তু তা পরিমাণে কম ছিল, যা বদল আনে ২০১০ সালের পর।
কেন তখন থেকেই নিয়োগ ব্যাবস্থা দুর্বল হতে শুরু করল?
কারণ ১: পুরনো নিয়মাবলী অপ্রচলিত হয়ে পড়ে। নিয়োগ বিধি ছিল ১৯৯৭, ২০০১, ২০০৫ সালের কাঠামোতে। ডিজিটাল ভ্যালিডেশন, ডকুমেন্ট ট্র্যাকিং, OMR স্ক্যানিং, এগুলো তখনও আধুনিকীকরণ হয়নি।
অর্থাৎ হাতে-কলমে করা প্রক্রিয়াতে ম্যানিপুলেশন শুরু হয়েছিলো।
কারণ ২: চাকরির চাহিদায় অতিরিক্ত চাপ।
একটি চাকরি পেতে যেখানে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ প্রতিযোগিতা করছে, সেখানে যারা দুর্নীতি করতে চায় তাদের কাছে বাজার তৈরি হয়। আর সেই জায়গাটাই পরিষ্কার করে দেয় সিস্টেমের দুর্বলতা।
কারণ ৩: তদ্বির সংস্কৃতির উত্থান। “আগে বললে কাজ হবে”—অর্থাৎ first come first serve. এই ধারণা বীজের মতো ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সবাই এই তদ্বিরে বিশ্বাসী ছিলেন না, কিন্তু ধারণাটি ধীরে ধীরে সমাজে প্রবেশ করতে থাকে।
কারণ ৪: আঞ্চলিক স্তরে প্রশাসনিক ঢিলেমি।
জেলা পর্যায়ের নিয়োগ পর্যবেক্ষণ দুর্বল ছিল।যেখানে কাগজপত্র সংরক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে হয়নি, সেখানে প্রশ্নপত্রের চেইন-অফ-কাস্টডি সুরক্ষিত থাকার সুযোগ কম।
কারণ ৫: রাজনৈতিক মণ্ডলের পরিবর্তন।
২০০৯–২০১১ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আসে। প্রশাসনিক স্তরে নতুন অনুচক্র তৈরির সময় অনেক ক্ষেত্রেই বিধি-বিধান পুনর্বিন্যাস হয়নি। সেই ফাঁকে অনেক সুযোগসন্ধানী চক্র সক্রিয় হয়, বেনোজল গড়িয়ে আসতে থাকে।
অধ্যায় ৩: ২০১৪ — TET পরীক্ষা এবং বিস্ফোরণের শুরু। ২০১৪ সালে নেওয়া TET পরীক্ষা ছিল এক নজিরবিহীন পরীক্ষা। প্রায় ২০–২৫ লাখ আবেদন জমা পড়ে। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটিই হবে পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ স্বচ্ছতার নতুন দৃষ্টান্ত। কিন্তু সেই আশাতে জল পড়ল।
TET- ২৯১৪–তে প্রশ্ন ও অভিযোগ।
১. ফল প্রকাশে বিলম্ব ও অস্পষ্টতা
প্রার্থীরা জানতেন না, ফল কবে বেরবে, কিভাবে বেরবে, নম্বর কীভাবে হিসাব হবে।
ফলে প্রথম থেকেই অবিশ্বাস তৈরি হয়।
২. মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি।
প্রার্থী বা গণমাধ্যম কেউই স্পষ্ট তালিকা দেখতে পাননি। নাম প্রকাশ না হলে কীভাবে বোঝা সম্ভব মেধা অনুযায়ী নির্বাচিত করা হয়েছে?
৩. ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল কি?
অনেকেই বলেন, তাদের ডাকা হয়নি।
কাউকে বলা হয়েছে—“ইন্টারভিউ হয়েছে”, কিন্তু কবে হয়েছে তা কেউ জানে না। এ যেন এক অদৃশ্য প্রক্রিয়া।
৪. “অনট্রেইনড” প্রার্থী নিয়োগ। ২০১৪ সালে শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হলেও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন বলে পরে আদালতে দাবি ওঠে।
৫. আঞ্চলিক বৈষম্য। কিছু জেলায় তালিকা কম ছিল, কিছু জেলায় অস্বাভাবিক বেশি।
কেন এগুলো বড় সংকেত ছিল?
কারণ নিয়োগে স্বচ্ছতা না থাকলে, বিশ্বাস নষ্ট হয়।
আর বিশ্বাস নষ্ট হলে দুর্নীতির চক্র পথ পায়।
এমনকি তখনই এমন কিছু লোক বেরিয়ে আসে যাদের বলা হয়— “ব্রোকার,” “মধ্যস্থতাকারী”। প্রার্থীদের অনেকেই পরে জানান, “৩ লাখ দিলে প্যানেলে নাম উঠবে। ৫ লাখ দিলে স্কুলে পোস্টিং নিশ্চিত। ইন্টারভিউ না হলেও হবে—তার ব্যবস্থা আছে।” এই কথায় কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন, কেউ করতেন না। এতে হতো একের পর এক স্বপ্নভঙ্গ। কিন্তু কথাগুলো পুরো প্রজন্মকে বিষাক্ত করে দেয়।
অধ্যায় ৪: ২০১৪–২০১৫ — আইনি যুদ্ধের শুরু।
TET- ২০১৪–র ফলের পরপরই একদল প্রার্থী মামলা করেন। তাদের যুক্তি, মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি। স্কোর অডিট হয়নি। নিয়োগের আগে নথি যাচাই হয়নি।
অনিয়ম তদন্তের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এভাবে জমে ওঠা ৮০+ মামলার মধ্যে কিছু মামলা উল্লেখযোগ্য। এই মামলাগুলোই ভবিষ্যতের মামলা নির্মাণে ভিত্তি তৈরি করে দেয়।
কালকাটা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে— “সিলেকশনের প্রতিটি ধাপের রেকর্ড কোথায়?” এই প্রশ্নই পরবর্তী ঘটনাবলীকে পুরোপুরি বদলে দেয়।
অধ্যায় ৫: নিয়োগব্যবস্থা কি আদৌ সুরক্ষিত ছিল?
একটি আধুনিক নিয়োগব্যবস্থায় থাকা উচিত– প্রশ্নপত্র নিরাপত্তা। OMR স্ক্যানিংয়ের নির্ভুলতা। ডিজিটাল ভ্যালিডেশন। মেধাতালিকা প্রকাশ। নিয়োগ প্যানেলের স্বচ্ছতা। ইন্টারভিউ রেকর্ডিং। কাউন্সেলিং ডেটা সংরক্ষণ। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক
কিন্তু TET-২০১৪ এবং সেই পরবর্তী SLST- ২৯১৬ সম্বন্ধে যা জানা যায়—
এই ৮টি সিস্টেমের মধ্যে প্রায় ৬টি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অনুপস্থিত ছিল।
১. প্রশ্নপত্র হ্যান্ডলিং ঢিলেঢালা ছিল
গুদামে ঢোকা-নামার হিসাব ছিল না
শৃঙ্খলাবদ্ধ চেইন-অফ-কাস্টডি ছিল না।
২. OMR স্ক্যানার লগ অনুপস্থিত, যেখানে প্রতিটি স্ক্যানের লগ থাকা বাধ্যতামূলক
৩. কাউন্সেলিং রেকর্ডিং নেই, ইন্টারভিউ বা কাউন্সেলিংয়ের অডিও/ভিডিও প্রমাণ নেই।
৪. তালিকা প্রকাশ হয়নি, মেধাসূচি দেখানো হয়নি, এটি সবচেয়ে বড় অস্বচ্ছতা।
৫. অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি
প্রার্থীদের অভিযোগ জমা থাকলেও তার জবাব আসেনি
অধ্যায় ৬: ২০১৬–এর সুনামি: SLST পরীক্ষা
২০১৬ সালে WBSSC যে SLST পরীক্ষা নেয়, সেখানেই সব অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রধান অভিযোগ:
লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর, মৌখিকে হঠাৎ ফুল মার্কস।
*OMR বদলে দেওয়া
*র্যাঙ্কে অস্বাভাবিক লাফ
*যাদের নম্বর কম, তারা নির্বাচিত
*যাদের নম্বর বেশি, তারা বাদ
*প্যানেলে নাম নেই, তবুও নিয়োগ
*কাউন্সেলিংয়ের দিন ডাকার রেকর্ড নেই
*ডকুমেন্ট যাচাই হয়নি
*সবকিছু “হাতের কলমে” করা হয়
এটি ছিল একটি ব্যবস্থাগত চক্রান্ত ও ধাক্কা। প্রার্থীরা দেখলেন, বছরের পর বছর পড়াশোনা, টিউশন, কোচিং, সংগ্রাম কিছুই কাজ করল না।
২০২২-২০২৫: আইন এর শুনানি ও
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তার কান্ড (২০২২)
____________________________
তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেপ্তার করে। তার সহযোগী অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও গয়না উদ্ধার হয়, শুধু তাই নয় কাম নিয়ন্ত্রক সেক্সটয়ও পাওয়া যায়, যা এই কেলেঙ্কারির সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল। হাইকোর্টের রায় (২০২৪): কলকাতা হাইকোর্ট এই সম্পূর্ণ নিয়োগ প্যানেলটিকে ‘ফ্রড’ (প্রতারণা) আখ্যা দিয়ে বাতিল ও নিষ্পত্তি করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনানি (২০২৫):
___________________________
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে এবং প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল করে দেয়। আদালত এই প্রক্রিয়াকে “পদ্ধতিগত ব্যর্থতা” এবং “প্রতারণামূলক” বলে অভিহিত করে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (TET) প্রক্রিয়ায়ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেন যে অযোগ্য প্রার্থীদের বাড়তি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এই সংক্রান্ত মামলাগুলিও বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
অন্যান্য অভিযোগ পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতি: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি ছাড়াও বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যার তদন্ত চলছে।
DA বকেয়া মামলা: সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) বকেয়া নিয়েও রাজ্য সরকার দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে, যা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সারদা এবং নারদ চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির মতো আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগগুলিও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। একের পর এক পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে জড়িয়ে বর্তমান শাসক দল কেবল শিক্ষকদের চাকরি ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেনি, পাশাপাশি ২০১০- এর পর বন্ধ হয়েছে,
শুধু তাই নয়, বন্ধ হয়েছে SSC লাইব্রেরিয়ান পদ ও, প্রতিটা লাইব্রেরি আজ এক এক টা টয়লেট নয়তো ভূতের বাড়ি বানিয়ে ছেড়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়ার সরকার, হাজার হাজার শূন্যপদ থাকতেও এই কিছু বছরে বিজ্ঞপ্তি বেরনোর পরে নাহলে পরীক্ষা হয়নি আর নয় গ্রন্থাগার মন্ত্রী তা বিভিন্ন সভা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে গেছেন, আজ এই ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে কেউ হয়তো চিঠি লিখছেন এই আশাতে, গ্রামীণ ও শহরের গ্রন্থাগার গুলোতে যাতে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, কিন্তু প্রতিটা আশাতে কোনরকম স্বাভাবিক উত্তর কিংবা সাড়া না পেয়ে, বর্তমান গ্রন্থাগার বিজ্ঞান পড়া ছাত্র ছাত্রীরাও প্রায় আশাহীন ভাবে এক কোণাতে পড়ে আছে, তাদের একটাই সামান্য দাবি— নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে শুরু হোক, সময় পরীক্ষা হোক, কিন্তু না, যে রাজ্যে কোটি কোটি টাকার ঋণের বোঝা থাকে সেখানে প্রথমেই বোঝা যায় মেরুদণ্ডটা ভেঙে পড়েছে তা অন্তত এই সরকার আর জোড়া লাগাতে পারবে না, বরং নিজের গদি ছাড়ার ভয়ে দুর্নীতির মাত্রা প্রসারিত হবে কেবল।

