স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৩ সেপ্টেম্বর: অভাবের তাড়নায় কিডনি বিক্রির পথ বেছে নিলেন একই পরিবারের চারজন। নদিয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
কেউ কিডনি বিক্রি করেছেন অভাবের তাড়নায়, আবার কেউ বা চিকিৎসার কারণে কিডনি দান করেছেন। একই এলাকার ৬ জন কিডটি বিক্রি বা দান করেছেন। তারমধ্যে একই পরিবারের চারজন কিডনি দিয়েছেন। বিগত তিন বছর ধরে এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে নদিয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডল পাড়া এলাকায়।
পঞ্চায়েত প্রধানের সাফ কথা, আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। আমরা কোনও তথ্য পাইনি। বিষয়টা আমরা মৌখিক শুনেছি, তারপর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে অভাবের তাড়নায় এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সমস্ত প্রকল্প তাদের দেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে এই এলাকার কিডনি বিক্রি বা দানের সংখ্যা মোট ৬ জন। তারা সবাই একই এলাকার। এদের কেউ বলছেন বাড়িঘর ঠিক করতে এলাকারই একজন মারফত তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাড়ে চার লক্ষ টাকায় যোগাযোগ হয়েছিল কিডনি দেওয়ার জন্য। কিন্তু চার লক্ষ টাকা পেলেও বাকি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অর্থের অভাব ছিল, তাই বাধ্য হয়ে স্বামীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে কিডনি দিয়েছেন স্ত্রী। দীপক মন্ডল নামে সদ্য এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও দিয়েছেন তার কিডনি। এক্ষেত্রে তিনি নাকি তার কিডনি বিনা পয়সায় দান করেছেন। সংসারে অভাব রয়েছে, তা সত্ত্বেও কি করে তিনি কিডনি দান করতে পারেন স্বেচ্ছায়? সমস্ত বিষয় স্পর্শ কাতর। নদিয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডলপাড়া এলাকায় দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারি মানুষের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েতের কাছে বিষয়টি জানা না থাকলেও, এলাকার মানুষ সকলেই জানেন তাদের নাম।