সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১২ জুন: ব্যাঙ্গালোর সুপার ডিভিশনে খেলবে পুরুলিয়ার চার ফুটবলার। পুরুলিয়া শহরের বিষ্টু মাহাতো, আবিল বাউরি, শেক সোহেল ও বলরামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় বেসরা। রীতিমত যোগ্যতা অর্জন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে খেলবে তারা। তাদের খেলা নজর কেড়েছে সেখানকার বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা ও নির্বাচকদের। আর সেই সুবাদে ব্যাঙ্গালোরের একটি জনপ্রিয় প্রাচীন ক্লাবে এবার সই করল।
বিষ্টু গোলরক্ষক, আবিদ ও সোহেল মিড ফিল্ডার এবং সঞ্জয় স্ট্রাইকার পজিশনে খেলে। ব্যাঙ্গালোরের ওই ক্লাবে ভালো পরিমাণ অর্থে চুক্তি হয় তাদের। সই পর্ব মিটিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি মুখো হয় তারা। এর পরই ট্রেনে পুরুলিয়ার বাড়ি ফিরল তারা। আজ পুরুলিয়া স্টেশনে তাদের অভ্যর্থনা জানান ক্রীড়া প্রেমীরা। মালা পরিয়ে গর্বের আসনে বসিয়ে স্বাগত জানান পুরুলিয়া পুরসভার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর বিভাস দাস। তিনি বলেন, “পুরুলিয়ার ছেলেরা পেশাদার ফুটবলার। এটা ভাবা নয়, বাস্তব। গর্বে বুক ভরে উঠছে।”
স্টেশনে আসা আবিলের বাবা সুনীল কুমার বাউরি বলেন, “ছেলে এখানকার জেলা স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পড়ার সঙ্গে খেলাধূলায় ঝোঁক ছিল। আমরা উৎসাহ দিয়েছি।” ব্যাঙ্গালোর সকার গ্যালাক্সি নামের ফুটবল অ্যাকাডেমির কোচ কর্ণধার গৌতম দেবনাথ পুরুলিয়ায় এসেছিলেন। তখনই এই চার খেলোয়াড়ের খেলা তাঁর নজর কাড়ে। তার পরই তাঁর হাত ধরে ব্যাঙ্গালোরের ফুটবল অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করে পুরুলিয়ার চার ফুটবলার। প্রথমে ব্যাঙ্গালোর ইয়ুথ লিগ, সি ডিভিশন খেলে ওরা, আর তার পরই সুপার ডিভিশনে খেলার সুযোগ এবং সেটা রীতিমত পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়েই।
বিষ্টু পুরুলিয়া জেলা স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করল। ওই স্কুলে আবিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সোহেল পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সঞ্জয় বলরামপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলার সাফল্য অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা মানভূম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম ফুটবল কর্মকর্তা বৈদ্যনাথ মন্ডল, অভিজ্ঞ ক্রীড়া কর্তা পার্থ মুখার্জি।