আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৯ এপ্রিল: ঘোষণা না করলেও বীরভূম লোকসভায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের বাংলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নলহাটির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন তিনি। সেই সঙ্গে এক চিকিৎসক সহ শতাধিক বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষকে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করালেন। দলীয় কার্যালয় থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক যখন কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করছেন ঠিক তখনই ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের সমর্থনে মিছিল করে সিপিএম।
এদিন নলহাটি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে দলে যোগদানের একটি কর্মসূচি পালন করল সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক। অনুষ্ঠানে দলের জেলা সভাপতি রেবতী ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায়, জেলা অবজারভার বিভাস চক্রবর্তী। সভার শুরুতেই কয়থার বাসিন্দা বিশিষ্ট চিকিৎসক আব্দুল কেরিমের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নরেন চট্টোপাধ্যায়। এরপর তাঁর সুদীর্ঘ বক্তব্যে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের তৃণমূল সরকার অসভ্য। ওটা এখন চোরেদের দল। সব চোর জেলে। বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিতে উঠে পরে লেগেছে। ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আর কংগ্রেস দেশের স্বাধীনতায় বাধার সৃষ্টি করেছিল। এর গ্যাট চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দেশের সম্পদ বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই তিন দলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে”।
নরেনবাবুর কথায়, “কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের আসন সমঝোতা হয়েছে। এই নিয়ে বামফ্রন্টে কোনো আলোচনা হয়নি। তাছাড়া কংগ্রেস আমাদের কোচবিহার এবং পুরুলিয়ায় প্রার্থী দিয়েছে। তাহলে কিসের জোট? কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা কোনো জোটে যাব না। কারণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, ঠিক তখন কংগ্রেসের লিডাররা ব্রিটিশদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই কংগ্রেসের জন্যই বাবরি মসজিদের মতো স্মৃতিসৌধ ধূলিসাৎ করেছে বিজেপি। ফলে কংগ্রেসের থেকে আমরা বিজেপি ও তৃণমূলের মতো সমদূরত্ব বজায় রেখে চলব”।
এর ফলে বাম জোটে কি ভাঙন ধরবে? এ প্রশ্নের উত্তরে নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বামফ্রন্ট কারও ব্যক্তিগত ফ্রন্ট নয়। সুভাষ চন্দ্র বসু বাম সংহতি গঠন করে গিয়েছিলেন। সিপিএম আমাদের বড় শরিক হতে পারে। তারপরেই আমরা। আমাদের দলেরও গঠনতন্ত্র রয়েছে। আমরা এতদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এসেছি। তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে প্রচার করতে পারব না। যেখানে বামফ্রন্ট প্রার্থী থাকবে সেখানে আমরা প্রচারে নামব। কংগ্রেসের হয়ে আমরা কোথাও প্রচার করব না”।
তাহলে বীরভূম লোকসভায় আপনারা কি প্রার্থী দেবেন? এই প্রশ্নে নরেনবাবু বলেন, “এনিয়ে দলের রাজ্য কমিটিতে আলোচনা হবে। দলে আলোচনা হওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
স্যার আব্দুল করিম কে চাই উনি খুব একটা ভালো মানুষ অভিনা সাথে মানুষের খুব সাহায্য করে তার মনটা খুব ভালো মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার একটা পেশা