আমাদের ভারত, বাংলাদেশ, ৩০ অক্টোবর: প্রায় ১৮ দিনের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভর্তি রাজধানী ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে অসুস্থতার সাথে লড়াই করে হাসপাতালেই দিন কাটছে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপার্সনের। ১২ অক্টোবর বিকেলে গুলশানের ভাড়া করা বাসভবন ফিরোজা থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভর্তি হন তিনি। ডাক্তাররা তাঁর শারীরিক অবস্থার বিবেচনা করে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে জ্বরে ভুগছেন তিনি। শুধু জ্বর নয় আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ একাধিক রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষা, বায়োপসি করা হয়েছে। করা হয়েছে আরও বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা। এক বছরে দ্বিতীয় বার হাসপাতালে ভর্তি করা হল খালেদা জিয়াকে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর ১৫ তারিখ তার কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় এই এভারকেয়ার হাসপাতালেই। সেদিন ফিরলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে একই মাসের ২৭ তারিখ আবারও নেওয়া হয় একই হাসপাতালে। সে সময় ১ মাসের বেশি সময় সিসিইউতেই থাকতে হয়। দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাড়িতে ফেরেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু এবার তিনি এখনও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি।
খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯১ সালে সাংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর পূর্ণ মেয়াদে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকেন তিনি। এর পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ১৯৯৬ সালে ১৫ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর পর ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের ভোটে ফের ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিএনপি। কিন্তু তারপর থেকেই ভাগ্যের মোড় ঘুরতে থাকে। জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ড হয় বিএনপি নেত্রীর। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপর তিন দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় খালেদা জিয়ার।