আমাদের ভারত, ৮ জুলাই: শুক্রবার সকালে সূর্যোদয়ের দেশ থেকে হঠাৎই দুঃসংবাদ এসেছে। বক্তৃতা দেওয়ার সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শিনজো আবে। এরপরই টুইটে বন্ধুর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে। জানা যায়, অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। এরপরই জাতীয় শোক ঘোষণা করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয় আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।
বলা হয়েছে জাপানের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি ছিলেন আবে। তাই তার মৃত্যুতে শোকাহত ভারত। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। এই দুই রাষ্ট্রনেতার প্রচেষ্টার ফলেই ইন্দো-প্যাসিফিকে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সফল অবস্থান তৈরি হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশের সামরিক নীতিতে পরিবর্তন এনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করায় জোর দিয়েছিলেন আবে। চিনা আগ্রাসনে বিপদ যে কতটা তা তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। এছাড়াও জাপানের অর্থনীতিকে মজবুত করতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী পদক্ষেপও করেছিলেন তিনি।
আবের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই টুইটারের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমার অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন আবে। তার মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তিনি একজন প্রবাদপ্রতিম রাষ্ট্রনায়ক প্রশাসক ছিলেন। জাপান সহ গোটা বিশ্বের উন্নতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।”
কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন বলেই মনে করা হয় তাকে। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া ভারত কে নিয়ে কোয়াড বা চতুর্দশী অক্ষ তৈরীর পরিকল্পনা ছিল আবের মস্তিষ্ক প্রসূত। ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় কোয়াড তৈরীর উদ্দেশ্যে প্রথম বৈঠক করেন আবে। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েকটি বছর। শুরুর দিকে আবের চিন উদ্বেগকে ততটা গুরুত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে আমেরিকা বুঝতে পারে ধীরে ধীরে জেগে উঠছে ড্রাগনের দেশ।

