আমাদের ভারত, বর্ধমান, ২৪ অক্টোবর: রায়নায় ব্যবসায়ী খুনের তদন্ত করতে রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে এল ফরেনসিক দল। তারা ওই বাড়ির ঘটনাস্থল সহ চারদিক ঘুরে দেখে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি এদিন জেলা সিআইডির একটা দলও ওই বাড়িতে যায়।
গত শুক্রবার কলকাতা থেকে বর্ধমানের রায়নার দেশের বাড়িতে এসে খুন হন ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডল। তার বাড়ি হাওড়ার শিবপুর এলাকায়। শুক্রবার কলকাতা থেকে আসার পরে সন্ধে নাগাদ যখন বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছিলেন সেই সময় কে বা কারা তাকে নীচে ডেকে পাঠায়। তিনি নীচে নামলে তাকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তি হাতাতেই তার পরিবারের লোকজন সব্যসাচীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করেছে। ঘটনার পরেই তদন্তে নামে রায়না থানার পুলিশ। পুলিশ সব্যসাচীর মন্ডলের বন্ধু, গাড়ির ড্রাইভার ও রাঁধুনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
এদিন বিকেল নাগাদ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে যায়। ওই বাড়িতে যে জায়গায় সব্যসাচী মন্ডল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন সেই জায়গা ঘুরে দেখেন তারা। সেখান থেকে রক্তের নমুনা সহ বেশ কিছু নমুনা তারা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি ওই বাড়িতে থাকা সব্যাচীর কাকিমার সঙ্গেও কথাবার্তা বলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে বাড়িতে সব্যসাচী মন্ডলকে খুনের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িটি দোতলা। সেই বাড়ির নীচের বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় সব্যসাচী মন্ডলকে উদ্ধার করা হয়। সেই জায়গায় এখনো চাপচাপ রক্ত পড়ে আছে। সেই জায়গা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা হয় বেশ কিছু নমুনাও।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এস ডিপিও (সদর) দক্ষিণ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় বেশ কয়েকজন রয়েছে। পুলিশ বেশ কিছুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।