চেকপোস্ট বন্ধ থাকায় বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরাও পড়ল আর্থিক সংকটে

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২ মে:
গেদে চেকপোস্ট একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। এই চেকপোস্ট বিগত পাকিস্তান আমল থেকে বিদ্যমান। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের কারণে চেকপোষ্ট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুনরায় গেদে-দর্শনা চেকপোস্ট চালু হয়। গত ৩৭ বছর ধরে এই গেদে-দর্শনা চেকপোষ্টেই বিদেশি মুদ্রার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দিনবন্ধু মহলদার।

শুধু দীনবন্ধু মহালদারের নাম বললে ভুল হবে তিনি ছাড়াও প্রায় একশ থেকে দেড়শো পরিবার অর্থনৈতিকভাবে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। দিনের শেষে পেট চালাবার জন্য ডাল-ভাতের সংস্থান এতদিন এই গেদে-দর্শনা চেক পোস্টের দৌলতেই চলছিল।
কিন্তু বর্তমানে মারণ রোগ করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চেকপোস্ট গুলি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সাময়িকভাবে যোগাযোগ হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিকভাবেই আয়ের রাস্তাও হয়ে গেছে বন্ধ। সে কারণে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এই চেকপোস্টকে কেন্দ্র করে যারা এতদিন ব্যবসা করে এসেছিলেন সেই সমস্ত ব্যবসায়ীরা।

চেকপোস্টের ওপারেও চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহের জন্য পড়ে আছে জমি। কিন্তু লক ডাউনের জন্য বিএসএফের অতি সক্রিয়তার কারণে ওপারে গিয়ে তারা চাষাবাদও করতে পারছেন না। তারকাঁটার ওপারে বিঘের পর বিঘে জমি থাকলেও দেখা শোনার সুযোগ নেই বিএসএফের বাধার কারণে। ফলে যাদের জমি জায়গা আছে তারাও ফসল তুলে আনতে পারছেন না।
তারা আদৌ জানেন না কতদিন তাদের এই ভাবে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হবে। কথায় বলে বসে বসে খেলে রাজার ভাঁড়ারও একদিন ফুরিয়ে যাবে। তাই খুবই সংকটের মধ্যে তারা দিন কাটাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *