আমাদের ভারত, ২০ নভেম্বর: বিশ্বের একাধিক দেশ করোনারি দ্বিতীয় ওয়েব সামাল দিতে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। এবার ভারতবর্ষও কি সেই দিকে এগোচ্ছে? ভারতবর্ষেও কি আবার লকডাউন হবে? সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও দেশের একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর তাতেই আংশিক লকডাউনের পথে এগোচ্ছে দেশ বলে মনে করছেন অনেকে।
একাধিক শহরে কারফিউ জারি করায় ট্রেনের অবাধ চলাচল বিমান পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনের পর একে একে আনলক ১,২,৩,৪ পেরিয়ে এখন ৫। প্রায় স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। চলছে লোকাল ট্রেন। যদিও বেশিরভাগ রাজ্যেই এখনও পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি।
কিন্তু দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লক্ষ পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮৪ জনের। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ১৬২।
রাজধানী সহ দেশের একাধিক শহরে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার ইতোমধ্যেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। সেখানে বাড়ির বাইরে মাস্ক যদি কেউ না পরেন তাহলে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
গুজরাটের আহমেদাবাদে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আমেদাবাদে লাগু করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালীন রাত্রীকালিন কারফিউ। শনি ও রবিবার কারফিউ জারি করেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের সব জেলায় শনিবার থেকে জারি করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা। ভূপালেও কারফিউ জারি করার কথা ভাবছে প্রশাসন।
মহারাষ্ট্র সরকার দিল্লির সঙ্গে বিমান ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করার কথা ভাবতে শুরু করেছে। পান্ধরপুরে কারফিউ জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বাইতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই একদিকে সিদ্ধান্ত দেখার পরই দেশে আংশিক লকডাউনের কথা উঠতে শুরু করেছে।