Rg Kar, ১বছর ধরে ভয় দেখিয়ে লাভ না হওয়ায় তিলোত্তমাকে শেষ করার নিখুঁত পরিকল্পনা সন্দীপ ঘোষের

আমাদের ভারত, ৫ অক্টোবর:
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। হ্যাঁ এমনটাই জানা গেছে সিবিআই সূত্রে। নিম্নমানের ওষুধ এবং শিক্ষার মান নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আরজিকর কান্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন সিবিআই কর্তারা।

জানা গিয়েছে, তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুন পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত। কোথায়? কখন? খুন করা হবে সব আগে থেকে ঠিক করা ছিল। জানা গেছে, আর জি কর হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে যে ওষুধ দেখা হতো তা নিয়ে বেশ কিছু সিনিয়ার চিকিৎসককে সরাসরি অভিযোগ করেন ঐ তরুণী চিকিৎসক।

সিনিয়ার চিকিৎসকরা সকলেই ছিলেন সন্দীপ ঘোষের কাছের লোক। যে কারণেই খবর সন্দীপ ঘোষের কাছে পৌঁছয়। তারপর থেকে শুরু হয় সমস্যা। আরজি কর মেডিকেল কলেজের পঠন-পাঠন নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। ঠিকমতো ক্লাস হতো না কলেজে, তাঁর গবেষণাপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এমন খবর এসেছে সিবিআই কর্তাদের হাতে।

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, তরুণী চিকিৎসকের মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে বোঝানো হয়েছিল। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, তরুণী চিকিৎসকের মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু সে চুপ না করায় খুন করার ছক কষা হয়।

কেন তিলোত্তমাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় তা জানতে চাওয়া হয় একাধিক কর্মী ও চিকিৎসকের কাছে। তাদের কথায় ইঙ্গিত মেলে, মাস্টারমাইন্ড প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক পড়ুয়াকে কোথায় এবং কি ভাবে খুন করা হবে কার ছক ছিল? সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও জানতেন আরও চার চিকিৎসক। তারাই নাকি ছক কষেছিলেন বলে জানা গেছে তদন্তে। নিজের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন চিকিৎসক সহ আরো কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক কে ধর্ষণ ও খুনের নিখুঁত পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন ঘটান সন্দীপ ঘোষ।

হাসপাতালের অভ্যন্তরে নানান অনিয়ম, অন্যায় জেনে ফেলা এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতেই এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনো চলছে তদন্ত। আগামী ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলায় শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। ঐদিন দুপুর দুটোয় সুপ্রিম কোর্টে হবে শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *