আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩ ডিসেম্বর: বালুরঘাট থেকে এফসিআইএর অফিস স্থানান্তর আটকাতে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন সাংসদ। মন্ত্রী রামবিলাশ পাসোয়ানের আশ্বাস সুকান্ত মজুমদারকে। মঙ্গলবার দিল্লিতে এই বিষয়ে একটি দাবি পত্র কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের হাতে তুলে দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। যার পরেই সংশ্লিষ্ট অফিস মালদার সাথে কোনভাবেই সংযুক্তিকরণ করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বলে দাবি করেছেন সুকান্তবাবু। জেলার মানুষের স্বার্থে সাংসদের এমন উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বস্তরের মানুষের।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০১৫ সালে তৎকালীন সাংসদের অবহেলার কারণেই আজ বালুরঘাট থেকে এফসিআইএর অফিস মালদায় স্থানান্তরের উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা নিজ উদ্যোগে আটকে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্থ করেছেন।
দেশ ভাগের আগে থেকে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার জন্য বালুরঘাটে তৈরি হয়েছিল ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার অফিস। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে জনসাধারণের স্বার্থে সরকারের বণ্টন প্রক্রিয়া চলতো বালুরঘাটের সুভাষ কর্ণার এলাকার ওই অফিস থেকেই। অভিযোগ, ২০১৫ সালে তৎকালীন সাংসদ থাকা কালীন অর্পিতা ঘোষের সময় ওই দপ্তর মালদায় সংযুক্তি করণের যাবতীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্প্রতি এফসিআইএর ওই দপ্তর স্থানান্তরের তোড়জোড় শুরু হতেই জেলায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জেলাবাসীর স্বার্থে ওই অফিস স্থানান্তর আটকাতে বর্তমান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোষ্ট ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেন খোদ সাংসদও।
বর্তমান সাংসদের অভিযোগ, তিনি দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন ২০১৫ সালে বালুরঘাটের ওই দপ্তর মালদায় সরানোর প্রক্রিয়া গৃহীত হয়। তৎকালীন সাংসদ বিষয়টি গুরুত্ব দিলেই এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরী হত না। মালদায় অফিস সংযুক্তিকরণের এমন বিষয় জানবার পরেই তা স্থানান্তর আটকাতে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিদের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে তাঁকে আশ্বস্তও করেছেন মন্ত্রী।বালুরঘাটের ওই অফিস যাতে আর কোনভাবেই মালদায় স্থানান্তর না হয় সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।