পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: সোমবার থেকে ফের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার ফুলের চাষ আবারো একবার ক্ষতির মুখে পড়ল। পদ্ম ছাড়া সমস্ত রকম ফুল চলতি বছরের বর্ষার মরশুমে বার বার ক্ষতির মুখে পড়েছে।
মূলতঃ দোপাটি, গাঁদা, অপরাজিতা, রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের পাপড়িযুক্ত ঝুরো ফুলের মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে পাপড়ি পচে ফুলের গুণমান নষ্ট হচ্ছে। ওই ফুলে দাগ এসে যাওয়ার কারণে ওই ফুল বিক্রি হচ্ছে না। বাইরের জেলা বা রাজ্যেও তা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি পুজোর সময় ওই চার দিনের ব্যাপক পরিমাণ ফুলের চাহিদা মেটানোর জন্য ওই ধরনের ফুল হিমঘরেও রাখতে পারছে না ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। নিচু এলাকার কিছু ফুলের বাগানে ইতিমধ্যে জল জমে গিয়েছে। এছাড়াও খানিকটা রোদ বেরলে নরম প্রকৃতির ফুল গাছগুলি মরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে পুজোর ওই কয়েক দিনের বিপুল চাহিদা পূরণে ফুলের যোগানে সংকট দেখা দেবে। স্বভাবতই দাম বাড়বে।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দুর্গাপুজোর কয়েকটি দিন রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপক ফুলের চাহিদা থাকে। অষ্টমী পূজার দিন ১০৮টি করে পদ্ম আবশ্যিক হওয়ায় ওই দিনের জন্য বিশাল পরিমাণ পদ্মের চাহিদা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে থেকে সাধারণত পদ্ম ব্যবসায়ীরা হিমঘরে পদ্ম মজুত করে। চলতি বছরে বড় ধরনের রাজ্যের ফুলচাষ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে বন্যা না হওয়ায়, দুর্গাপূজো এগিয়ে আসায় এবং মাঠে ব্যাপক পদ্মের চাষ হওয়ায় এ বছর পদ্মের ফলন বেশ ভালো। ফলস্বরূপ পদ্মের যোগানে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অন্যান্য পাপড়িযুক্ত বিভিন্ন ঝুরো ফুলের সংকট দেখা দেবে। ফলস্বরূপ দামও বাড়বে।

