কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৯ আগস্ট:
এ যেন এক অসাধ্য সাধন। চারিদিকে বন্যার জল কিন্তু দেয়ান চক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হেমন্তপুর এবং বার নবনিতে ধান জমি সহ ওই এলাকায় বন্যার জল ঢোকেনি। কৃষকদের লাগানো সাধের ফসল ধান গাছগুলো দিব্যি বেড়ে চলেছে। নিশ্চিন্তে দিন কাটাচ্ছে গ্রামের মানুষ।
এবারও ঘাটালে যথারীতি বন্যা হয়েছে এবং এখনো বন্যার জলে প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা। কিন্তু হেমন্তপুর ও বারনবনির বিস্তীর্ণ এলাকার মৌজায় বন্যা হয়নি। দিব্যি ধানচাষ হচ্ছে।এটা ভাবতেই অবাক হয়ে গেছে অন্য এলাকার মানুষ। যেখানে ন্যূনতম জল বাড়লেই প্রতিবছর হেমন্তপুর মৌজায় বন্যা হয়, এবার সেখানে বন্যার চিহ্ন নেই। এবারও শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতে জল বেড়েছে। সেই জল বিভিন্ন এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সত্ত্বেও হেমন্তপুর ও বারনবনি জেগে রয়েছে, সেখানে নদীর জল ঢুকতে পারেনি। কি করে সম্ভব হল! আসলে এলাকার মানুষের শ্রমের দ্বারাই এই অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে।

ওই এলাকায় ১০০ দিনের কাজে নিচু জায়গাগুলিতে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে এবং বাঁধগুলিকে আগের তুলনায় আরও উঁচু করা হয়েছে মাটি এবং মাটির বস্তা দিয়ে। মাটির কাজ করার জন্যই হেমন্ত পুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এবার বন্যা হল না । কৃষির কোনও ক্ষতি হয়নি। এলাকার মানুষ বর্তমান সরকার সহ পঞ্চায়েত এর ঢালাও প্রশংসা করছে।


