কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বৃষ্টি এবং জলধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা।
ঘাটাল টাউন হলে আয়োজিত এই বৈঠকে জেলাশাসক প্রতিটি দপ্তরের কাজ পর্যালোচনা করেন। জেলাশাসক বলেন, আমাদের কমিউনিটি কিচেন এবং মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে। প্রতিনিয়ত মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ রাখছেন। আমাদের এসডিআরএফ টিম এখানে আছে। ২৪৫ জন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত বোট, রেসকিউ বোট, স্পিড বোট আছে। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ণ শুরু হয়েছে।জেলাশাসক প্রয়োজনে প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে বলেন। মানুষের পাশে প্রশাসন আছে। ছোট ছেলে- মেয়েরা যাতে বন্যার জলের কাছাকাছি না যায় সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলেন জেলা শাসক। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বড় বোট দেওয়া হচ্ছে। চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।বিভিন্ন বাঁধে নজরদারি চলছে।
ঘাটাল ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসপুর ১ ব্লকের ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত। ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড প্লাবিত। মানুষজন কোথাও জল পেরিয়ে, কোথাও ডিঙিতে করে যাতায়াত করছেন। পানীয় জলের ট্যাপ কল ডুবে গেছে। ঘাটাল শহরে প্লাবিত এলাকা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্লাবিত এলাকায় পুলিশ, প্রশাসন এবং পুরসভার উদ্যোগে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শুকনো খাবার ও ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নদীগুলিতে নজর রাখার জন্য সেচ দপ্তর ওয়াচ ম্যান নিয়োগ করেছে। নজর রাখছেন ইঞ্জিনিয়াররাও।
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, বাঁকা পয়েন্টে জল বাড়ছে, প্রাথমিক বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের এস ডি আর এফ, এনডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্স কাজ করছে। ৩০টি কমিউনিটি কিচেন এবং ৩০টি রেসকিউ সেন্টার চলছে।
এছাড়াও প্লাবিত এলাকায় পানীয় জল, ত্রাণ সামগ্রী রান্না করা খাবার দেওয়া চলছে। পৌঁছানো হচ্ছে পানীয় জল। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেন মহকুমা শাসক। বাচ্চারা যাতে জলের ধারে না যায় সে বিষয়ে মহকুমা শাসক সতর্ক করেছেন।