আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৬ সেপ্টেম্বর: পর পর তিন দিনে সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের আক্রমণের মুখে পড়লেন মৎস্যজীবীরা। এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। রবিবার সকালে এক মৎস্যজীবীকে কাঁকড়া ধরার সময় তুলে নিয়ে যায় বাঘ। এখনো পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ঐ মৎস্যজীবীর। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম গোপাল বইদ্য(৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি জঙ্গলের ঝিলা ৬ নম্বর বিভেগে। এই ঘটনায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীর গ্রাম গোসাবার সাতজেলিয়ার মিত্র পাড়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কোনও ভাবেই বাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না মৎস্যজীবীদের। বন দফতরের নির্দেশিকা অমান্য করার ফলেই বারে বারে দুর্ঘটনা ঘটছে। রবিবারও সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের আক্রমণের মুখে পড়লেন এক মৎস্যজীবী। গত ৩ সেপ্টেম্বর দুই সঙ্গীর সাথে গোপাল মাছ কাঁকড়া ধরতে বন দফতরের অনুমতি নিয়ে রওনা দিয়েছিল সুন্দরবনের জঙ্গলে। রবিবার সকালে তারা যখন কাঁকড়া সংগ্রহ করতে জঙ্গলে নামে, ঠিক তখনই হঠাৎ একটা বাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোপালকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্য দুই সঙ্গী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করে আনতে পারেনি গোপালকে। দুই সঙ্গী ফিরে এসে বন দফতরকে বিষয়টি জানায়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ পান নি ঐ নিখোঁজ মৎস্যজীবীর।
বিষয়টি গোপালের গ্রামে জানাজানি হতেই সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, “একটা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। মাঝে মধ্যেই মৎস্যজীবীদের উপর বাঘের হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৎস্যজীবী মহলে। তবে বিকল্প কর্ম সংস্থান সেভাবে কিছু না থাকায় বিপদ সত্ত্বেও জল, জঙ্গলের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে তাদের।

