স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ৮ মে:
কেউ দিচ্ছেন দুঃস্থ গরিবদের রান্না করা খাবার। আবার কোনও সংস্থার লোকজন তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন রান্না করে খাওয়ার জন্য চাল, ডাল, আলু সহ বিভিন্ন সাম। তবে সেইসব সামগ্রীর মধ্যে মূলত চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু এই ধরনের জিনিসই সবথেকে বেশি। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাড়িতে বসে থাকা সেইসব মানুষদের খাবারের রুচিরও তো বদল ঘটে। ভালো কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কার না জাগে। বিশেষ করে মাছে ভাতে বাঙ্গালির ক্ষেত্রে এক পিস মাছ খাওয়ার ইচ্ছা তো জাগতেই পারে। আর সেই ইচ্ছের বিষয়টা অনুভব করতে পেরেছেন রবীন্দ্রনাথ জাতীয় যুব কেন্দ্রর সদস্যরা।
রসনা প্রিয় বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য রবীন্দ্রনাথ জাতীয় যুব কেন্দ্রর সদস্যরা দুঃস্থ, গরিব মানুষদের চাল, ডাল, তেল, নুনের সঙ্গে তুলে দিলেন পাঁচশ গ্রাম করে কাটা মাছ। মাছ রান্না করার জন্য তুলে দিলেন মাছের ঝোলের মশলাও। মাছে ভাতে বাঙালির স্বাধ মেটানোর জন্য তারা দিলেন তিন কেজি করে ফাইন চাল, দু কেজি আলু, পাঁচশ মুসুরির ডাল, পাঁচশ গ্রাম সরষের তেল, নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, পাঁচফোরণ, এবং সঙ্গে মাছের ঝোল রান্না করার মশলা। কৃষ্ণগঞ্জ থানা ও হাঁসখালি গাজনা এলাকার নিতান্তই গরিব পরিবারের মানুষের হাতে এইসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন তারা।
এবার লকডাউনের কারণে অনেক জায়গাতেই হবে না রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান। গাজনা বাজারের পাশে প্রতিবছর এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। যদিও করোনা এবার সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে। অনুষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে থাকে, সেই টাকা খরচ করেই দুঃস্থ এবং নিতান্ত গরিব মানুষদের জন্য বিতরণ করলেন খাদ্য সামগ্রী। ওই সমিতির সদস্যরা অনুভব করেছেন, ঘরবন্দি বাঙালি মানুষদের একই খাবার খেতে খেতে হয়তো নিজেদের মন খারাপ হয়ে উঠতে পারে। তাই তারা চাল, ডাল, তেল, নুনের সঙ্গে মানুষের হাতে পৌঁছে দিলেন কাটা মাছ এবং মাছের ঝোল রান্না করার মশলা।
ওই সমিতির সদস্যরা জানিয়েছেন, ‘বাঙালিরা মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছে-ভাতে সেইসব বাঙালি যাতে ভাত, ডাল, আলু ভাজা মাছের ঝোল দিয়ে খেতে পারেন তৃপ্তি করে দুটো ভাত, সেই চিন্তা ভাবনা করেই আমাদের এই উদ্যোগ। ইচ্ছে রয়েছে, আগামী দিনেও নিতান্তই গরিব মানুষদের কাছে এই ধরনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।