আমাদের ভারত, ১৮ সেপ্টেম্বর: ২০২০ সালের নভেম্বরে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন লাগু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এবার সেই আইনে প্রথম সাজা ঘোষণা হল সেখানে। শনিবার ২৬ বছরের এক কাঠ মিস্ত্রিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গত বছরের এপ্রিলে এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আফজলকে। পরে তাকে জেরা করে উদ্ধার করা হয় সেই ১৬ বছরের কিশোরীকে। অতিরিক্ত ডিজি আশুতোষ পান্ডে জানান, ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনে এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে কেউ সাজা পেল।
সাম্ভালছর বাসিন্দা আফজাল জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শুক্রবার ফের তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আমরাহের বিশেষ কাউন্সিল বসন্ত সিং সাহানি বলেন, কিশোরীর কাছে নিজেকে আরমান কোহলি বলে পরিচয় দেয় আফজাল। পরে তার প্রকৃত পরিচয় জানতে পারে ওই কিশোরী। রবিবার তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২ এপ্রিল কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দু’দিন ধরে তার মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। কাজের নাম করে সে বেরিয়েছিল। স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে একজন পুরুষের সঙ্গে দেখেছিলেন বলে থানায় জানিয়েছিলেন ওই কিশোরীর বাবা।
এরপরে আফজালের প্রসঙ্গে জানা যায়। মেয়েটির বাবা জানান, দোকানে চারা কিনতে আসতো আফজল। কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেন, ওই আফজাল তার মেয়েকে ধর্মান্তকরণের জন্য অপহরণ করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আফজালের নামে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরের দিন দিল্লি থেকে আফজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই ওই কিশোরীকে খুঁজে পায় পুলিশ।
২০২০ সালে বেআইনি ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন অধ্যাদেশ আনে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। পরে ওই অধ্যাদেশের বদলে বিল আনে যোগী সরকার যা আইনে পরিণত হয়।