আমাদের ভারত, ২ অক্টোবর: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হলো ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ সিম সি এম এস ০৩। রবিবার বিকেল পাঁচটা ছাব্বিশ মিনিটে নির্ধারিত সময়ই উৎক্ষেপন করা হলো এই ভারি কৃত্রিম উপগ্রহটির।
৪৪১০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেবে ভারতের তৈরি এল ভি এম থ্রি এম ফাইভ রকেট। ভারতের মাটি থেকে জিও সিম ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে প্রতিস্থাপন করা হবে উপগ্রহটিকে।
ইসরো এর আগে সাড়ে ৫ হাজার কেজিরও বেশি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। তবে তা ভারতের মাটি থেকে পাঠানো হয়নি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফরাসি সংস্থা এরিয়ান স্পেস- এর সাহায্য নিয়ে ৫৮৫৪ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ জি স্যাট ১১ মহাকাশে পাঠিয়েছে ভারত। উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার ফরাসি ভূখণ্ডের ফ্রেঞ্চ গুয়ানার কৌউরুও থেকে। সেই সময় ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন এরিয়ান ফাইভ বি এ টু ৪৬ রকেট।
এবার ৪৪১০ কেজি ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হলো ভারতের মাটি থেকে। এর আগে এত ভারি কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়নি। এই উৎক্ষেপণের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভারতের তৈরি রকেটে এটি মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। ভারি কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এই রকেটকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন বাহুবলী। ইসরোর এই বাহুবলী রকেটটি লম্বায় প্রায় সাড়ে ৪৩ মিটার।
ভারি কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এল ভি এম থ্রি রকেট গুলির মধ্যে এটি পঞ্চম সংস্করণ। এটি চার হাজার কেজির বেশি ওজনের উপগ্রহকে কম খরচে জিটিওতে পৌঁছে দিতে পারে।
পিটিআই জানাচ্ছে, এই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে যেসব কাজে ব্যবহার করা হবে তার অন্যতম হলো সামরিক নজরদারি। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি ইসরোর তরফে। তবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, সি এম এস জিরো থ্রি হলো যোগাযোগের জন্য একটি বহুমাত্রিক কৃত্রিম উপগ্রহ। ভারতীয় ভূখণ্ড-সহ ভারত মহাসাগরীয় বিস্তীর্ণ এলাকায় এটি পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে ইসরো।

