আমাদের ভারত, ২৬ জুন: ২৮ ঘন্টার দীর্ঘ সফর শেষ করে সুভাংশু শুক্লা সহ চার নভশ্চর পৌঁছলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। ড্রাগন মহাকাশযানে তারা সেখানে পৌছান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা এগারোটা এক মিনিট নাগাদ আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুভাংশুরা। তারপর ২৮ ঘন্টার দীর্ঘ সফর শেষ করে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএসএ পৌঁছালেন সুভাংশু শুক্লারা। এর ৪১ বছর আগে মহাকাশে প্রথম পা রেখেছিলেন ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সুভ্রাংশুদের ড্রাগনকে
আইএসএস- এর সঙ্গে ডকিং করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুর তিনটে থেকে আইএসএস থেকে স্পেস এক্সে ওই মহাকাশ যান স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভশ্চররা।
দীর্ঘ এই সফরে ড্রাগনে কোনো গোলমাল দেখা যায়নি। থ্রাস্টার ঠিকঠাক কাজ করেছে।
নাসা নির্ধারিত সময় মতো বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ আইএসএসের হারমণিপোর্টে ড্রাগনের ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সংযুক্তি দুটি পর্যায়ে ঘটে। প্রথমে চৌম্বকীয় সফট ক্যাপচার এবং দ্বিতীয় ধাপে যান্ত্রিক হার্ট ক্যাপচারের মাধ্যমে ডকিং- এর জটিল প্রক্রিয়া শেষ হয়।
সুভাংশুর হাত ধরে মহাকাশ স্টেশনে দ্বিতীয়বার পা পড়ল ভারতের।
ড্রাগন পাইলট ছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সুভ্রাংশু। মহাকাশযানটি চালিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন, নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অক্সিয়াম স্পেসের মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর পেগি হুইটসন। পুরো সময় ধরে ডকিং- এর প্রক্রিয়ার দিকে নজর রেখেছিলেন তারা। ডকিং- এর সেই মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করেছে অক্সিয়াম স্পেস। পৃথিবী থেকে গোটা প্রক্রিয়াটি দেখা গিয়েছে।
সুভাংশু শুক্লাদের অভিযানের নাম অক্সিয়াম ফোর। এই অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন পেডি হুইটসন। এছাড়াও রয়েছেন, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির দুই নভশ্চর। ১৪ দিনের এই অভিযানে গোটা সময়টা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন চার নভশ্চর। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবেন তারা। এর মধ্যে কিছু ম্যাডিকেল ও কিছু রোবোটিক্স পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা রয়েছে তাদের বলে জানাগেছে।