আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ জানুয়ারি: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আপনারা যে ভালবাসা দিয়েছেন, আপনাদের জন্য জল প্রকল্প করব না? প্রেক্ষাগৃহ করব না? আমাদের কর্তব্য আপনাদের পাশে থাকা। এখনো এই উত্তর ব্যারাকপুরে আমরা সলিড ওয়েস্ট ফ্যাক্টরি করার জমি পাইনি। নিশ্চিত ভাবে আমি কথা দিচ্ছি এই উত্তর ব্যারাকপুরে খুব শীঘ্রই আমরা আবর্জনা ফেলার মডার্ন টেকনোলজির ফ্যাক্টরি করব, যা অনুকরন করবে গোটা দেশ। এই অঞ্চলের একটি গঙ্গার ঘাটের কাজ অসম্পূর্ণ আছে, সেটাও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করব আমরা। আপনারা আমাদের আশীর্বাদ করবেন।” বললেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার অন্তর্গত ইছাপুর ঘোষপাড়া রোড সংলগ্ন এলাকায় শহীদ বিকাশ বসু স্মৃতি কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করতে এসে একথা সাংবাদিকদের বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শহীদ বিকাশ বসুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিতে কেটে ফিরহাদ হাকিম বিকাশ বসু স্মৃতি কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। তিনি এই অত্যাধুনিক অডিটোরিয়ামের ভেতরে মঞ্চে প্রদীপ জ্বালিয়ে মঞ্চের উদ্বোধন করে নিজের বক্তব্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমাদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়েছে। তারা অন্যায় কাজ করে এপার থেকে ওপারে চলে গেছে। তাতে কিছু যায় আসে না। যখন তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল, তখন অনেক বড় বড় নেতারা কংগ্রেসে ছিল। তারা কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি। তাই তো আমাদের মত নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৈরি হয়েছে। জায়গা ফাঁকা হলে আপনাদের মত কর্মীদের থেকেই আবার নেতা তৈরী হবে। তবে শেষ কথা মানুষ বলে। মানুষ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে।”
বিকাশ বসু স্মৃতি কনভেনশন সেন্টার তৈরিতে মোট খরচ পড়েছে ১১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকারের কে এম ডি এ দপ্তর এই আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ তৈরী করে দিয়েছে। এদিনের এই প্রেক্ষাগৃহ উদ্বোধনে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শহীদ বিকাশ বসুর স্ত্রী নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসু, রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মলয় ঘোষ সহ ব্যারাকপুর, উত্তর ব্যারাকপুর, টিটাগড়, গারুলিয়া ও ভাটপাড়া পৌরসভার পৌর প্রশাসকরা ।