রাজেন রায়, কলকাতা, ১২ নভেম্বর: করোনা পরিস্থিতির জন্য চলতি বছরে বাজি বিক্রি বন্ধে আবেদন জানিয়ে আগে থেকেই সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দেন আরো একাধিক সংগঠন। চলতি বছরে বাজি বিক্রিও ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা রোগীদের কথা ভেবে সাধারণ মানুষকে বাজি না ফাটাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু এই পরিস্থিতির কারণে অনেক আগে থেকে তৈরি করে রাখা বিপুল পরিমাণ বাজি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের বাজি শিল্পীরা। কোথাও খোলাবাজারে রেখেঢেকে আবার কোথাও লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে বাজি বিক্রি। কিন্তু আগের মত খোলাবাজারে বিক্রি না হওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন একাধিক বাজি শিল্পী। তাই মুখ্যমন্ত্রী যেমন দুর্গা পুজোর আগে ক্লাবগুলোকে অর্থনৈতিক সাহায্য করেছিলেন ঠিক তেমনই বাজি শিল্পীদের জন্য অর্থনৈতিক সাহায্যের আবেদন করল সারাবাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি।
বাজি শ্রমিকদের স্বার্থে সারাবাংলা আতশবাজির কমিটির চেয়ারম্যান বাবলা রায় লিখেছেন, ৩১ লক্ষ আতশবাজি শ্রমিকের একমাত্র রক্ষাকর্তা মুখ্যমন্ত্রী। বাজি শ্রমিকদের পক্ষে আবেদন করা হচ্ছে, যাদের লাইসেন্স আছে তেমন অন্তত ১৫ হাজার শ্রমিক ও দোকানদার কে তুমি ২ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হোক। এছাড়াও সকল বাজি শ্রমিকদের লাইসেন্স দেওয়া হোক। সারা ভারতের সাথে বাংলাতে ১২৫ ডেসিবেল বাজির শব্দ মাত্রা করা হোক এবং ক্লাস্টার সিস্টেমে আতসবাজী কারখানা করার ব্যবস্থা করা হোক , এমন একাধিক দাবি জানিয়েছেন তিনি।