সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৭ ফেব্রুযারি. এতদিন পর্যন্ত বহুতল তৈরি হলে দমকলের ছাড়পত্র পাওয়া এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা মজুত থাকা আবশ্যক ছিল। এবার ৪৫ মিটারের বেশি উঁচু বহুতলে আবশ্যিক হচেছ ফায়ার কিয়স্ক। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বহুতলে ফায়ার কিয়স্ক উদ্বোধনে এসে এমনটাই জানালেন দমকলের ডিজি জগ মোহন। তিনি বলেন, ‘দমকলের ছাড়পত্র পেতে ৪৫ মিটারের বেশি উঁচু প্রত্যেক বহুতলে ফায়ার কিয়স্ক বাধ্যতামূলক করা হল। এতে অগ্নি-নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।’
প্রসঙ্গত, বহুতল তৈরির সময়ে অনেক বহুতলের মালিক সমস্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা মজুত রাখেন। কিন্তু দমকলের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, আগুন লাগার সমযে অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, ফোন, মই, দড়ি এরকম অনেক মজুত বহুতলেই মজুত থাকলেও কাজে আসে না। কারণ সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো ছেটানো থাকে। দমকল খবর পেয়ে আসতে আসতে আগুন অনেকটাই বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও হয় অনেক বেশি। আর নিচের দিকে আগুন লাগলে তা ওপরের তলগুলিকেও দ্রুত গ্রাস করতে থাকে। কখনো বহুতলের উচ্চতা আবার কখনো অপরিসর রাস্তা আগুন নেভাতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় দমকলের।
সেই কারণে এবার প্রত্যেক বহুতলে ফায়ার কিয়স্ক রাখা বাধ্যতামূলক করল দমকল। এই কিয়স্কগুলিতে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রযোজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র মজুত রাখতে হবে। সময় অন্তর সেগুলি বদল হচ্ছে কি না, তা দেখে নেবে দমকল। ফায়ার কিয়স্ক থাকলে আগুন লাগার সঙ্গে দ্রুত বহুতলের লোকজনই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে দিতে পারেন। খবর পেয়ে বিভিন্ন দিকে থাকা গাড়ি ও প্রযোজনীয় সরঞ্জাম নিযে রাস্তার ট্রাফিক কাটিয়ে যতক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছবে, ততক্ষণ যেন আগুনকে আটকে রাখা যায় বা বেশি বাড়তে না দেওয়া যায়।
দমকলের এক কর্তার কথায়, বহুতলের কর্মীদের সবসময়ে আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ না থাকলেও এই চেষ্টায় ক্ষতি কম হবে।