সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৩ মার্চ: ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে আগুন। শুশুনিয়া পাহাড়ের পর এবার জেলার জঙ্গলমহল এলাকা রানিবাঁধের বারো মাইল জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় গাছ থেকে ঝরে পড়ে পাতা। সেই শুকনো পাতায় কে বা কারা আগুন লাগায়। শুকনো পাতায় আগুন জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এখবর পেয়ে ব্লোয়ার নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন বন দফতরের কর্মীরা। বুধবার সারারাত চলে জঙ্গলে আগুন নেভানোর কাজ।
উল্লেখ্য, জেলায় গরম পড়তে শুরু করেছে সবেমাত্র কয়েকদিন। তারই মধ্যে জেলার দুটি বনভূমিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো।কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা।গত সপ্তাহে জেলার পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পাহাড়ের বনভূমিতে লাগা সেই আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে প্রায় ২৪ ঘণ্টা লাগে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের বারো মাইল জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, বুধবার সন্ধ্যায় বারোমাইল জঙ্গলে ঝড়ে পড়া শুকনো পাতায় আগুন জ্বলতে দেখেন তারা। খবর দেন বন দফতরে। বন দফতরের কর্মীরা ব্লোয়ার নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নামেন। কিন্তু ততক্ষণে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বন কর্মীরা ব্লোয়ার দিয়ে ঝড়া পাতার স্তুপ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যান।
এই প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য, উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণ সমৃদ্ধ বনাঞ্চল হিসাবে পরিচিত বারো মাইল জঙ্গল। এই জঙ্গলে হরিণ, ময়ূর, বুনো শুকর, সজারু ছাড়াও বহু জীবজন্তু, পাখি ও সরিসৃপ রয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চলে কে বা কারা এবং কিভাবে ও কি উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। বন আগুন রোধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।