সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি:
এবার অগ্নিকাণ্ডের গ্রাসে কালিকাপুরে মারুতি সার্ভিস সেন্টার। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই সার্ভিস সেন্টারে থাকা প্রায় ৪০ টিরও বেশি গাড়ি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং সাংসদ মিমিও পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে।
ঘটনাস্থলে পৌছেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হন যাদবপুরে তৃণমূলের তারকা সাংসদ। কেন এত বড় গাড়ির সার্ভিস সেন্টারে ঠিকঠাক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নজরদারি রাখেনি দমকল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে সামান্য বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমিকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই কালিকাপুরে মারুতি সার্ভিস সেন্টারে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় গোটা সার্ভিস সেন্টারকে। ডিজেলের মতো দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেই সময় সার্ভিস সেন্টারে থাকা প্রায় প্রত্যেকেই।
বেশ কিছুক্ষণ পর ১০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ওই সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজারের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু গাড়ি।
যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী মারুতির সার্ভিস সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগেও সরব হন। তিনি বলেন, “কোনও প্রাণহানি হয়নি। কিন্তু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক ছিল না। প্রশাসন যেমন ব্যবস্থা নেবে, তেমনই কর্তৃপক্ষেরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। আগুন পাশের বস্তিতে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ হতে পারত।”