আমাদের ভারত, ২৬ জানুয়ারি: রবিবার দেশ যখন উৎসাহের সাথে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করছে, তখনই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারতের অন্যতম অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলো।
‘নেতাজিকে অপমান করার জন্য’ মহাসভার
রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে ভবানীপুর থানায় রবিবার এই অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর নেতাজির বাড়ির সামনে গিয়ে অভিযোগকারীরা রাহুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।
চন্দ্রচূড়বাবু জানান, “সম্প্রতি ভারতের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তাইহোকু বিমান বন্দরের সাজানো বিমান দুর্ঘটনার দিনটিকে নেতাজির মৃত্যু দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যদিও আজ সবাই জানে ওইদিন ওই স্থানে এই রকম কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, নেতাজি যে দু’বার নির্বাচিত হয়ে কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন, সেটা পর্যন্ত উল্লেখ করেননি রাহুল। নেতাজিকে এই ভাবে অপমান করার জন্যই ভবানীপুর থানায় এফআইআর।”
চন্দ্রচূড়বাবুর দাবি, “রাহুল গান্ধীর নেতাজিকে অপমান করার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। রাহুলের শরীরে সেই ডিএনএ রয়েছে এবং ধমনীতে সেই রক্তই বইছে যে নরপিশাচদের চক্রান্তে নেতাজিকে প্রথমে কংগ্রেস ছাড়া এবং তারপর দেশ ছাড়া হতে হয়েছে। তাই রাহুল এবং তার পূর্বপুরুষরা চিরকাল নেতাজি এবং নেতাজির আদর্শকে ভারত থেকে মুছে দিতে চেয়েছে। কিন্তু নেতাজির অবস্থান সমস্ত ভারতবাসীর হৃদয়ের সিংহাসনে আর তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা ঘৃণার আস্তাকুঁড়ে স্থান পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “নেতাজির দেখানো পথেই ভারত জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে। এখানে জাতির জনক হিসেবে অন্য কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু সত্যি বলতে যে মহাপুরুষ ভারতের আত্মাকে প্রতিনিধিত্ব করে ভারত মায়ের সেই বীর সন্তানের নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাই আমরা হিন্দু মহাসভার সৈনিকরা বরাবর টাকা থেকে গান্ধীর মুখ সরিয়ে নেতাজির মুখ আনার পক্ষে সওয়াল করেছি।”