আমাদের ভারত, ২৫ এপ্রিল: ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে তাড়ান। শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পেহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ। সেটাই অত্যন্ত কঠোর ভাবে পালনের জন্য শাহর এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁও- এ নিরীহ পর্যটকদের উপর নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ২৬ জন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ হিন্দু। ধর্ম জিজ্ঞেস করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। দেশজুড়ে এই ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে কেন্দ্র সরকারকে যে কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিরোধীরা। বুধবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের পেহেলগাঁও ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যদিও তার আগেই মোদী সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের পেহেলগাঁও- এর বৈসরান উপত্যকায় নৃশংস হত্যালীলার পর ভূ-স্বর্গে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে একজন নেপাল ও ইরানের নাগরিক রয়েছেন। একজন খ্রিস্টান ও একজন মুসলিম ঘোড়া ওয়ালা রয়েছেন। বাকিরা হিন্দু। এরা ভারতের ১৪টি রাজ্যের বাসিন্দা। মোদী সরকার ইতিমধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ নেন। সামরিক স্তরে আঘাত এলে পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে। এই আবহেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে তাড়ানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত দুই লস্কর জঙ্গির বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে দুটি বাড়িতে। বাড়িগুলির মালিক আদিল হোসেন ঠক্কার এবং আসিফ শেখ দু’জনেই সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত।
অতীতে পুলওয়ামা হামলার পর সার্জিকাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইক- এর জবাব দিয়েছিল ভারত এবার দেখার পেহেলগাঁওর জবাবে কী হয়।