সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ ফেব্রুয়ারি: সমাজ বিরোধীদের দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের ভয় দেখিয়ে ঐতিহ্যবাহী হাঁসার বিল অর্থাৎ জলাভূমি ও যশোর রোডের পাশে নয়ানজুলি বেআইনি ভাবে ভরাট করার অভিযোগ উঠল বনগাঁ পৌরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এলাকার বাসিন্দারা বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ, বহিরাগত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে এসে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী হাঁসার বিল বেআইনী ভাবে ভরাট করছেন বনগাঁ পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপাই রাহা। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার বলেন, বহু প্রাচীন তম একটি বিল মাটি দিয়ে ভরাট করছে এক ব্যক্তি। স্থানীয় গ্রামবাসী তার প্রতিবাদ করতে গেলে বনগাঁর এক কাউন্সিলর পাপাই রাহা বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে গ্রামের মানুষদের ভয় দেখাচ্ছেন। বেআইনি ভরাটের ফলে অসংখ্য কৃষকদের কৃষি জমির ফসল বর্ষার মরসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন এলাকার কৃষকরা। পাশাপাশি গাইঘাটা ব্লকের দোগাছিয়া, মন্ডলপাড়া, মনমোহনপুর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যেই কৃষক ও গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে গাইঘাটা বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর পাপাই। তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। ওই জলাভূমির সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। জলা জমি ভরাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জমির মালিক দেবব্রত সেন৷ তিনি বলেন, এটি ধানি জমি এবং বাস্তু জমি৷ দখল করা বা ভরাট করার কোনো প্রশ্নই নেই। এর সঙ্গে পাপাই রাহার কোনো যোগ নেই৷
এবিষয়ে বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের সমাজ বিরোধীরা বিডিও সহ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাদের টাকা দিয়ে চাঁদপাড়া দোগাছিয়া, ঠাকুরনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমি, পুকুর ভরাটের কাজ করছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।
এই নিয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, এই ধরনের বেআইনি কাজ দল কোনো ভাবে বরদাস্ত করে না। আইনের ঊর্ধ্বে নয় পাপাই রাহা। আমি বা কোনো তৃণমূল নেতা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাছাড়া আইন গত ভাবে এর ব্যবস্থা হবে। যদি বেআইনি কিছু করে থাকেন আইন আইনের পথে চলবে।


Pingback: ভয় দেখিয়ে জলাভূমি ভরাট, বিপাকে চাষিরা - জয় কিষাণ
Pingback: জয় কিষাণ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ - জয় কিষাণ