আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৪ সেপ্টেম্বর:
বাবার সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের পেটে চাকু ঢুকিয়ে খুন করার চেষ্টা করল বাবা। অভিযুক্ত বাবাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার মছলন্দপুর ১নম্বর পঞ্চায়েতের খেজুরবাগান এলাকায়। আহত কিশোরী সোনালী মণ্ডল বারাসত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবড়া থানার বিড়া এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত বাবা শরিফুল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা মণ্ডলের বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে গারা আলাদা থাকেন। তাঁদের এক মাত্র মেয়ে সোনালী, বয়স ১৩ বছর। সোনালী কখনও বাবার কাছে কখনও মায়ের কাছে থাকত। সম্প্রতি সোনালী মায়ের কাছে এসে বাবার কাছে আর যেতে চায় না। শরিফুল বার বার ফোন করে মেয়েকে ডেকে পাঠায়। মেয়ে বাবার কাছে যেতে অস্বীকার করে। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েকে নিতে আসেন শরিফুল। মেয়ে যেতে রাজি হয় না। এরপর তাকে হাত ধরে টানতে টানতে স্থানীয় দাসপাড়া মাঠ দিয়ে নিয়ে যায়। মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর কোমর থেকে ধারাল ছুড়ি বের করে পেটে ঢুকিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির কান্নায় আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বাউগাছি হাসপাতালে, পরে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যায়। শরিফুল পালাতে গেলে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।