আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ জুলাই:
বাবা দিনমজুর। মা সাধারণ গৃহবধূ। নিদারুণ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছে বারাসতের শুভজিৎ পাল। আজ তার চোখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। ভয় আর্থিক অনটন। অনিশ্চয়তার সেই মেঘ কাটিয়ে দিলেন পড়শিরা। তাঁরাই তুলে নিলেন শুভজিতের পড়াশোনার খরচের ভার।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের কালিকাপুরের বাসিন্দা শুভজিৎ। পূর্ব বারাসাত আদর্শ বিদ্যাপীঠের ছাত্র শুভজিৎ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৯২ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে। বাবা সুনীল পাল পেশায় দিনমজুর। মা সরস্বতী পাল সাধারণ গৃহবধূ। পড়াশোনায় শুভজিৎ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। তাই সাত রাজার ধন ছেলেকে নিয়ে দু’চোখ জোড়া স্বপ্ন ছিল বাবা-মায়ের। অবশেষে তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ছেলে। উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে। শুভজিতের ইচ্ছে চিকিৎসক হয়ে সমাজের আর্ত মানুষের সেবা করা। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে বড় ভয়। অত টাকা কোথায় পাবে? মুশকিল আসান শুভজিতের পড়শিরাই।
রবিবার সকালে প্রতিবেশী ধীরাজ সরকার, জয়দেব সরকার ও আইনজীবী সুশান্ত কুন্ডু কৃতী শুভজিৎকে সংবর্ধনা দিলেন। তাঁরাই শুভজিতের ডাক্তারি পড়ার খরচ দেবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। শুভজিৎ তাঁদের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে পড়াশোনা করতে চান।