কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: দাসপুরে আক্রান্ত যুবকের বাবার শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল। তাঁর ছেলে আক্রান্ত হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। এবার তার লালারস পরীক্ষা করে মিললোনা সংক্রমণ।
দিন কয়েক আগেই ওই ব্যক্তির ছেলে করোনা আক্রান্ত হন। তিনি অন্য রাজ্যে কাজ করতেন, সম্প্রতি নিজামপুরের বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপরেই করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ছেলে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অাক্রান্তের বাবা। তাঁর শরীরেও বিভিন্ন উপসর্গ ছিল। কলকাতায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবারই মেদিনীপুর থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হবে সংক্রমিত ব্যাক্তিকে।
আক্রান্ত বাবা ছেলে দাসপুর থানার নন্দনপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজামপুরের বাসিন্দা। দিনকয়েক আগে ওই যুবক মুম্বই থেকে ফেরেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর পরিবারের ৬ জনকে পাঠানো হয় সরবেড়িয়া বি সি রায় হাই স্কুলে তৈরি হওয়া কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। গোটা গ্রামটিকে সিল করে নজরে নজরে রেখেছে পুলিশ। গ্রামের ঢোকার সবকটি রাস্তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারকে হোম কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
সেই সময় সকলকে কোয়ারেন্টইন সেন্টারে পাঠানো হলেও মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল যুবকের বাবাকে। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। জ্বর-সর্দি–কাশি সহ একাধিক উপর্সগ থাকায় তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্টের অপেক্ষাতেই ছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার রাতে আসা রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরিবারের বাকি সদস্য ও পরিজনদের উপর বিশেষ নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
বুধবার দমকল ও দাসপুর থানার যৌথভাবে করোনা অাক্রান্তদের বাড়ি সহ অাশে পাশের বাড়ি রাস্তা ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। ওই যুবকের সংস্পর্শে যারা এসেছিল তাঁদেরও কোয়ারেন্টাই সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।