আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৬ সেপ্টেম্বর: ফের তৃণমূলের সভায় চটুল নাচের পুনরাবৃত্তি ভাঙড়ের বুকে। বছর কয়েক আগে ১লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ভাঙড়ে তৃণমূলের সভা মঞ্চ থেকে চটুল নাচ পরিবেশিত হয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আজ।
শনিবার ভাঙড়ের শোনপুরে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ডাকে কেন্দ্রের কৃষি বিরোধী নীতির প্রতিবাদে সভা ছিল। সেই সভায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। আর সেই সভাস্থলেই চলল চটুল নাচ। ভোজপুরি গানের সাথে চটুল নাচে মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা। করোনা আবহে যখন শারীরিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হচ্ছে, তখন সেই সরকারি নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে সভা করছে তৃণমূল। আর সেই সভায় উদ্দাম নাচে মেতেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন ভাঙড়ের শোনপুর বাজার এলাকায় কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধীতা করে সভার ডাক দেয় ভাঙড় সংখ্যালঘু সেলের নেতৃত্ব। বিকেল থেকেই সেই সভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মিছিল করে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দলে দলে যোগ দেন। অনেকেই এই সভাস্থলে আসেন তাসা ব্যাঞ্জ ও ডিজে বস্ক বাজিয়ে। হিন্দি, ভোজপুরি গানের সাথে সাথে চলতে থাকে চটুল নাচ। স্বল্প বসনা নর্তকীর সাথে তৃণমূল কর্মীরাও সেই নাচে মেতে ওঠেন। যা কার্যত সভার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যহত করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বছর কয়েক আগে ঠিক একই ভাবে ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে চটুল নাচ পরিবেশিত হয়েছিল। সেই ঘটনায় এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে বহিস্কারও করেছিল দল। ঘটনার পরও যে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতরা শিক্ষা নেয়নি তা এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হল।
যদিও এই সভার আহ্বায়ক ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন বলেন, কর্মীরা আনন্দে এসব করে ফেলেছে। এ নিয়ে অবশ্য তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য সুনিপ দাস বলেন,
“এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এদের থেকে আর কি বা আশা করা যায়?”
যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।