ক্যানিংয়ে পালিত হল কৃষক দিবস, সম্মান জানানো হলো সেরা কৃষকদের

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৫ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় মৃত্তিকা লবণতা গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে সোমবার ক্যানিং আঞ্চলিক অফিসে পালিত হলো কৃষক দিবস। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি কিভাবে কৃষকরা আরও ভালো ফসল পেতে পারবেন, কিভাবে একই জমিতে একাধিক ফসল একসাথে চাষ করতে পারবেন তা নিয়েই এদিনের অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়। পাশাপাশি চাষবাস করতে গিয়ে কিভাবে কৃষকরা ব্যাঙ্ক লোন পাবেন সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিজ্ঞানী বি মাজি, সংস্থার কলকাতা আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান টি কে ঘোষাল, জু লজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ক্যানিং আঞ্চলিক শাখার প্রধান জে এস যোগেশ কুমার, সহ কৃষি সচিব ক্যানিং ভূমি রক্ষা সংস্থা সুকান্ত কুমার দাস, এই সংস্থার বর্তমান প্রধান ধীমান বর্মণ সহ ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের কৃষি আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’পাঁচেক কৃষক।

এদিন কৃষকদের চাষবাস সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ করবেন, কিভাবে এক জমিতে একই সময়ে একাধিক চাষ করে মুনাফা বাড়াবেন, কিভাবে জৈব সার প্রয়োগ করে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবেন, পাশাপাশি কিভাবে ব্যঙ্কের মাধ্যমে সহজে কৃষিঋণ পাবেন এই সমস্ত বিষয় নিয়েই এদিন আলোচনা হয়। কৃষকরাও তাঁদের নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন কৃষি বিশেষজ্ঞদের কাছে। সেই সমস্যা সমাধানের সূত্রও বলে দেন বিশেষজ্ঞরা। এসবের পাশাপাশি এদিন ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের সেরা দশজন কৃষককে সম্মান জানানো হয় এই কৃষক দিবসের মঞ্চ থেকে। তাঁদের হাতে মেমেন্টো এবং শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় সংস্থার তরফে।

ক্যানিংয়ের হিঞ্চেখালির বাসিন্দা পার্থ সারথি পাইক সেরা কৃষকের পুরস্কার পেয়ে বলেন, “এই ধরনের সম্মান আমাদের আরও ভালো চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা এই সংস্থার কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে চাষ করে যথেষ্ট উপকৃত হয়েছি। আগের তুলনায় ফলন অনেক বেড়েছে। একই সময়ে একই জমিতে একাধিক চাষ করছি। ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ, হাঁস, মুরগি চাষ করে লাভবান হয়েছি।”

সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ধীমান বর্মণ বলেন, “আমরা কৃষকদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি রাসায়নিক চাষাবাদ দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে কিভাবে অনেক বেশি এবং ভালো ফলন মেলে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকেই সেই পরামর্শ মেনে চাষ করে ভালো ফল পেয়েছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *