আমাদের ভারত, ১১ ডিসেম্বর: দিল্লির কৃষক আন্দোলন ইতিমধ্যেই দু’সপ্তাহ পেরিয়েছে। এর মধ্যে সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে ছয় দফা বৈঠক হলেও কোনো রফা সূত্র বেরোয়নি। সরকার আইনের সংশোধনী আনতে রাজি হলেও তা মানতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি। তারা আইন বাতিলের দাবিতে অনড়। কিন্তু এবার কৃষকদের অবস্থান আন্দোলনেও কান দিচ্ছে না সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে আইন প্রত্যাহার না করার ইঙ্গিত স্পষ্ট করা হয়েছে। তাই এবার তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে কৃষকদের একটি সংগঠন। এদিকে সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা করে পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। আর বিজেপি দেশজুড়ে নয়া কৃষি আইনের গুরুত্ব বোঝাতে বিরাট আকারে প্রচারে নামতে চলেছে।
ইতিমধ্যে কৃষকদের একটি সংগঠন জানিয়েছে, সরকার আইন প্রত্যাহার না করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগোবে। প্রয়োজনে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা। একই সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের রাস্তাও খোলা রাখছে কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। তারা ঘোষণা করেছে বিতর্কিত তিন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে তারা। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তিন আইন বাতিলের দাবিতে ৬টি আবেদন জমা পড়েছে। গত ১২ অক্টোবর এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের জবাবও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে দিল্লি সিংঘু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, আন্দোলনরত কৃষকরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না, যা করোনা পরিস্থিতির জন্য বিপদজনক। ৭ ডিসেম্বর দিল্লির আলিপুর থানায় এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে একইভাবে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না, তখন পুলিশ কেন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
অন্যদিকে নতুন কৃষি আইন নিয়ে দেশের মধ্যে ব্যাপক আকারে প্রচার শুরু করতে চলেছে বিজেপি। দেশজুড়ে ১০০-র বেশী সাংবাদিক বৈঠক ও ৭০০-র বেশি কৃষকসভা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পদ্ম শিবির। সেখানে নতুন আইনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সমস্ত সভায় অংশগ্রহণ করবে বিজেপি কর্মী, নেতা তথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও মন্ত্রীরাও।