আমাদের ভারত, ৬ ফেব্রুয়ারি: সরকার বলেছিল কৃষকরা চাইলেই আগামী দেড় বছর নয়া কৃষি আইন লাগু করবে না সরকার। এবার কৃষকরা সরকারকে নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সময় সীমা বেঁধে দিল। গান্ধী জয়ন্তীর মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে নয়া আইন, না হলে আন্দোলন তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির মধ্যেই আরোও একটি বড় ঘোষণা করল আন্দোলনকারী কৃষকরা। ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল আগামী ২ অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর পর্যন্ত সময় দেয়া হলো কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার মধ্যে নয়া ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে।
বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, “নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হলো। আইন প্রত্যাহার না করা হলে আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা করতে হবে। কোনো চাপের কাছে মাথা নত করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবো না”।
প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল আজ চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন আগেই ঘোষণা করেছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি হবে না। সেইমতো এই জায়গাগুলিতে কোনো অবরোধ করেনি কৃষকরা। কিন্তু এই তিন জায়গার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেছেন কৃষকরা। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারিদের একাক্টা রাখতে রাস্তার উপরেই রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া সারেন তারা।
গাজীপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি পূরণ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না। দিল্লি বিভিন্ন সীমান্তে কাঁটাতার ও রাস্তায় পেড়েক পুঁতে রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওরা যদি রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখে আমরা তাহলে রাস্তায় ফুল ফোটাবো। কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলতে হবে আমাদের।”
দিল্লির একাধিক সীমান্ত সহ পাঞ্জাব রাজস্থান হরিয়ানার একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। পাঞ্জাবের ১৫টি জেলার ৩৩ জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ জায়গাতেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকারীদের আটকাতে বিরাট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও দিল্লি পুলিশ মিলিয়ে ৫০ হাজার জাওয়ান মোতায়েন করা হয়। তৈরি রাখা হয় জলকামান ক্রেন। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়।