আমাদের ভারত, ১৭ নভেম্বর: দিল্লি বিস্ফোরণে তিন হাজার কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার। একের পর এক জেহাদি ডাক্তারের এসব কিছুর সঙ্গে যোগ মিলেছে। ফরিদাবাদের কুখ্যাত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জঙ্গি তৈরির কারখানা এখন বুলডোজারের নিশানায়। বেআইনিভাবে জমি অধিগ্রহণ, অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ।
দিল্লিতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি চিকিৎসকদের বেশির ভাগেরই যোগ মিলেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। ইউএপিএ ধারায় ইতিমধ্যে মামলা ও তদন্ত করেছে এনআইএ। এর পাশাপাশি নজরে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত ব্যাপক কারচুপির তথ্য।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ৮০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অংশ বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছে। সরকারি ও গ্রামীণ রাস্তার দখল সহ বেআইনি ভাবে একের পর এক নির্মাণ কাজ চালিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির পরিমাপের সময় এই দখলদারির বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের।
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদকে দুটি সমন পাঠানো হলেও কোনোটিরও উত্তর আসেনি। ইউজিসির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং অনিয়মের দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এই অভিযোগগুলির মধ্যে আর্থিক কারচুপিও অন্তর্ভুক্ত। তদন্ত করবে ইডি। তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের প্রমাণ মিললে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বেআইনি নির্মাণ।
আরো অভিযোগ, ১৯৯০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর বাড়ানোর কাজ শুরু হয়। সেই সময় যিনি আচার্য পদে ছিলেন তিনি কার্যত গায়ের জোরে গ্রামবাসীদের চলাচলের একাধিক রাস্তা দখল করে নেন। যার জেরে কৃষকরা নিজের জমিতে যেতে সমস্যার মুখে পড়েন। শুরুতে ৩০ একর জমিতে তৈরি হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পরে আশপাশের জমি কিনে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়। তখন সরকারি রাস্তা দখল করে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

