আশিস মণ্ডল,আমাদের ভারত, ৩০ অক্টোবর: করোনা আবহে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে মা তারার আর্বিভাব দিবস পালন করা হলেও ভাটা পড়েছে জনজোয়ারে। পুন্যার্থীদের জন্য সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। আগে স্থানীয় গ্রামগঞ্জের মানুষ ভিড় জমালেও বর্তমানে করোনা আবহে সেই মানুষের তেমন দেখা মেলেনি।
কথিত আছে শারদীয়ার শুক্লা চর্তুদশীতেই বশিষ্ঠ মুনি সাধনার মাধ্যমে মা তারাকে দেখতে পান। সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তি দীর্ঘকাল মাটির নিচে ছিল। পরে বনিক জয়দত্ত সওদাগর সেই মূর্তি তুলে মা’কে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই এই দিনটিকেই মায়ের আর্বিভাব দিবস হিসাবে ধরে নিয়ে সেই থেকে আজও মা তারাকে মূল মন্দিরের বাইরে বিশ্রামখানায় এনে পুজো করা হয়। সেই মতো শনিবার সকালে মা তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করে বিরামখানায় বসানো হয়।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই চর্তুদশীর দিন ভোরে প্রতিবছর মা তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করে বিরামখানায় আনা হয়। সেখানেই মা’কে স্নান করিয়ে পুজার্চনা করা হয়। বছরের এই একটি দিন মায়ের কোন ভোগ হয় না। মায়ের ভোগ হয় না তাই সেবাইতরাও উপবাস থাকেন। ওইদিন দুবার মা’কে স্নান করানো হয়। সারাদিন ধরে চলে পূজো পাঠ। রাত্রে মায়ের কাছে ফুলের ডালি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। তারপর সেবাইতরাও অন্নগ্রহণ করেন।’ এইদিন পূণার্থীরা ভক্তি ভরে মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন। তাই প্রতিবছর এই দিনটিতে পুন্যার্থীদের ভিড় জমে। কিন্তু এবার সেই পুন্যার্থীদের দেখা মেলেনি। ট্রেন না চলায় পুন্যার্থীরা আসতে পারেননি। অনেককেই মোবাইলে মায়ের দর্শন করানো হয়েছে”।