ভুয়ো আইপ্যাক নেতাদের বহিষ্কারে গড়িমসি! প্রশ্ন চিহ্নে বালুরঘাট শহর শ্রমিক নেতার ভূমিকা, অবাক জেলা সভাপতি

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২০ ফেব্রুয়ারি: ভুয়ো আইপ্যাক নেতাদের বহিষ্কারে গড়িমসি তৃণমূল শ্রমিক নেতার। বালুরঘাট শহর শ্রমিক নেতার এমন কর্মকান্ডে অবাক খোদ শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিও। যাকে ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে।

জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বালুরঘাটের তিন শ্রমিক নেতা নিজেদের আইপ্যাকের লোক পরিচয় দিয়ে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামে সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন। খোদ রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর খাস তালুকে এই সমীক্ষা করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা। অভিযোগ, ভুয়ো আইপ্যাকের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে টাকা তোলাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যাদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।

জানা গেছে, ভুয়ো ওই তিন তৃণমূল নেতাই বালুরঘাটের বাসিন্দা। যাদের মধ্যে শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ ওরফে বিশু চক্রবর্তী এবং রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা ছোটন দাসকে পাবলিক বাসস্ট্যান্ডের ইউনিট কমিটিতে নিযুক্ত করেন শহরের শ্রমিক নেতা ছোটন রজক। শুধু তাই নয়, বিশ্বনাথ
চক্রবর্তীকে ওই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান করে গুরুদায়িত্বও দেন ছোটন রজক। ঘটনায় নাম উঠে এসেছে আরো এক শ্রমিক নেতার, নাম শুভম মহন্ত। যার বাড়ি শহরের কবিতীর্থ পাড়ায়। ধৃত ওই তিন ভুয়ো নেতাই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পর প্রায় পাঁচ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে, এখনও এব্যাপারে কোনো সদর্থক পদক্ষেপই নেননি শহর শ্রমিক নেতা ছোটন রজক। যাকে ঘিরে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ওই শ্রমিক নেতা।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ছোটন রজকের উপরই পালটা দায় চাপিয়েছেন জেলা তৃণমূল শ্রমিক নেতা নামিজুর রহমানও। তার দাবি, বিষয়টি জানবার পরেই ওই নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও কেন গড়িমসি বুঝে উঠতে পারছেন না। জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির এমন বক্তব্যে আরো জোড়ালো প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বালুরঘাট টাউন শ্রমিক নেতা। তবে কি এই ঘটনার পিছনে পরোক্ষে কারোর কোনো মদত ছিল?

যদিও ছোটন রজক জানিয়েছেন, বিষয়টি তাদের কানেও এসেছে। কিন্তু এব্যাপারে কোনো তথ্য তারা এখনো পাননি। যদি এধরনের কোনো ব্যাপার হয়ে থাকে তবে আইন আইনের পথেই চলবে।

জেলা শ্রমিক নেতা নামিজুর রহমান বলেন, ঘটনা জানবার পরেই ওই অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও সেটা হয়নি কেন বুঝতে পারছেন না। জেলা তৃণমূল সভাপতির সাথে কথা বলে এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *