Barikul, Toto driver, বারিকুলে টোটো চালক খু*নে পরকীয়া তত্ত্ব, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৮ অক্টোবর: বাঁকুড়ার বারিকুল থানার লেপাম গ্রামের টোটোচালক সুশীল হেমব্রম খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত বারিকুলেরই বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মুর্মু ওরফে ডোগো’কে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে তদন্তকারীরা অফিসাররা। ধৃতকে আজ আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, সুশীল হেমব্রম (৩৯) সেদিন বিকেলে টোটো নিয়ে রসপাল হাটে সবজি আনতে ভাড়ায় গিয়েছিলেন। সে তারপর আর ঘরে ফেরেনি। পরদিন সকালে বারিকুল-ফুলকুশমা রাস্তার আগুইগোড়া ক্যানেল সেতুর ধারে ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় তার রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ তাকে ফুলকুশমা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

এই ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। তার স্ত্রী নীলিমা হেমব্রম জানান যে, পাড়ায় কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না, তাই এমন হবে ভাবতে পারিনি। এখন দুটো ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত সুশীলের সঙ্গে বারিকুলের মাঝের পাড়ার বিশ্বজিৎ মুর্মুর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। পরকীয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। অবশেষে সেই সম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়ায় সুশীলের জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুশীলকে খুন করে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয় বারিকুল থানার পুলিশ। অবশেষে গতকাল গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ মুর্মুকে। আজ তাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় এবং সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কই মূল মোটিভ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে। এই ঘটনার জেরে গ্রামে এখনো আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের পরিবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *