আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১২ নভেম্বর: দিল্লি বিস্ফোরণে পরদিনই বীরভূমে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করল পুলিশ। একটি চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ওই বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে ৫০ ব্যাগ জিলেটিন স্টিক। ওই ব্যাগে ২০ হাজার জিলটিন স্টিক ছিল বলে পুলিশের দাবি। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বীরভূমের নলহাটি থানার সুলতানপুর– নলহাটি রাস্তার সংকেতপুর গ্রামে।
ঘটনায় নারায়ণ ঘোষ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি একই থানার জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় টহলদারি চালানোর সময় পুলিশ চারচাকা গাড়িটি দেখতে পায়। গাড়িটি আটক করে তল্লাশি চালানোর সময় বিস্ফোরকগুলি নজরে আসে পুলিশের। এরপরেই গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে নলহাটি থানার পুলিশ। তবে গাড়িটির চালক ও খালাসি পলাতক। বিস্ফোরকগুলি কোথায় ও কী কারণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই বিষয়টি তদন্ত করছে বীরভূম জেলা পুলিশ। তবে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের একদিন পর এরাজ্যের ঝাড়খণ্ড ও মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এর আগেও ওই এলাকায় একাধিকবার বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, ঝাড়খণ্ড এবং এরাজ্যের বীরভূমের নলহাটি এলাকায় একাধিক বৈধ-অবৈধ পাথর খাদান রয়েছে। সাধারণত পাথর খাদানে এই বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই সমস্ত খাদানে পাথর ফাটানোর জন্য চোরা পথে ওই সমস্ত বিস্ফোরক বহন করা হয়। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পরে পরেই বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় নাশকতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। বুধবার তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল নেতা। ফলে এর সঙ্গে নলহাটি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়াও শাসক দলের আরও নেতার যোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়া হোক।”

