প্রদীপ কুমার দাস, আমাদের ভারত, ১৮ এপ্রিল: নন্দীগ্রামের মত করোনায় মৃতদের লাশ চুরি করছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, সঠিক তথ্য না দিয়ে সমস্ত কিছু গোপন রাখা হচ্ছে এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন রকম তথ্য দিচ্ছে। রাজ্যে কেন বেশি সংখ্যায় করোনা টেস্ট করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজ্য সরকারের দেওয়া করোনায় মৃতদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতদের দেহ লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া হচ্ছে না। করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণাও করছে না। অথচ গোপনে করোনায় মৃতের মত তা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন হাসপাতালে ২, ৩, ৫, ১০, ১২ জন করে মারা গেছে। তারা সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, অথচ তা স্বীকার করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যে ১০ জন মৃতের কথা ঘোষণা করেছে তাদের কোনো পরিচয় জানানো হয়নি। তারা কোন হাসপাতালে মারা গেছেন, কবে মারা গেছেন, কিছুই বলা হচ্ছে না, শুধু সংখ্যা বলা হচ্ছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস লাশ গায়েব করে দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, সেই সময় নন্দীগ্রামে গুলি চালানো হয়েছিল। সিপিএমের আমলে আমরা দেখেছি মৃতদেহ নদী, সমুদ্রে ফেলে দিয়েছিল। লাশ চুরি করেছিল সিপিএম। এবার ঠিক একই ভাবে করোনায় মৃত মানুষের লাশ চুরি করছে তৃণমূল। এই কারণে করোনায় মৃত মানুষকে সম্মান দিচ্ছে না। তাদের সম্মানের সঙ্গে পোড়ানো হচ্ছে না এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে। এটা কিছুতেই মানা যায় না বলে মন্তব্য করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি নিজামউদ্দিন ফেরত তবলিগ জামাতের সংখ্যা নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার প্রথমে জানিয়েছিল ৭৩ জন জামাতের লোক এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু আমি তখনই বলেছিলাম ২৮০ জন এসেছে। এদের মধ্যে ১১০জনই বিদেশি। তারপরের দিনই অবশ্য রাজ্য সরকার জানিয়েছিল ২৪৭ জন। অথচ রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইনে ৩০০ জনকে রাখা হয়েছে। তারমানে আরো আছে। আমার কাছে খবর ছিল চারটি মসজিদের লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ সেই তথ্য রাজ্য সরকার চেপে দিয়েছে। এইসব নানা কারণে মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে সরকারের ওপর এবং এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলে হুমকি দেন দিলীপ ঘোষ