জে মাহাতো, কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর: ২০১৯ সালের আলিপুরদুয়ারের একটি মামলায় শুক্রবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর ভবানী ভবনে হাজির হওয়ার জন্য জরুরি তলব পাঠানো হয় বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষকে। আর সেই জরুরি তলবে ভবানী ভবনে হাজির হয়েই ক্ষোভ উগরে দেন ভারতী ঘোষ।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের নির্দেশেই তাঁকে হয়রানি করতে এখন তৎপর হয়েছে সিআইডির গোয়েন্দারা। কারণ সামনে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে তাঁকে দলীয় কাজকর্মে থেকে বিরত রাখার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সঙ্গে সিআইডির গোয়েন্দারা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার থানা ২০১৯ সালের ৪৩ নম্বর মামলায় বিগত ১৮ মাস ধরে তাঁকে কোন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি। অথচ বর্তমানে এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে জরুরী তলব দিয়ে ডেকে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ’ ভারতী দেবী। ভবানী ভবনে হাজির হয়ে সিআইডির গোয়েন্দাদের সামনে যাওয়ার আগেই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, যত বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসবে তাঁকে ডাকার পরিমান বাড়বে। এই কোভিড এর মধ্যে ফোনের মাধ্যমে কথা বলা যেত। কিন্তু তা না করে বারবার করোনার মধ্যে তাঁকে ডাকা হচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, যে অফিসার তাঁকে আলিপুরদুয়ারের মামলার জন্য জেরা করছিলেন সেই অসীম মন্ডল বর্তমানে করোনা আক্রান্ত। তা সত্বেও তাঁকে পুনরায় ডেকে জেরার নামে হয়রানি করাই আসল উদ্দেশ্য বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাত হল রক্ত মাখা হাত। জঙ্গলমহলে প্রচুর মানুষ কে মারা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককে। এর হিসাব ভগবানই নেবেন।