রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর: রবিবার সকালে শুরু বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা পুরভোট। সকাল ৭ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতাজুড়ে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। আর তার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতার ওয়ার্ডের বুথগুলিতে ইভিএম পৌঁছনোর কাজ। আর ইভিএম বিতরণের জন্য কলকাতার ১৪০টি ওয়ার্ডের জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি ডিসিআরসি। ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের জন্য থাকছে ৬ হাজার ৫৭০টি ইভিএম। সারা কলকাতার ১ হাজার ৭৭৬টি ভোটকেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ।
শনিবার সকাল থেকেই রবীন্দ্রভারতী স্টেডিয়ামে আসতে শুরু করেন ভোট কর্মীরা। উত্তর কলকাতার একাধিক ভোট কেন্দ্রের জন্য দেওয়া হয় ইভিএম মেশিন-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সেগুলি সংগ্রহ করে মেশিনগুলি চেক করে নেন ভোট কর্মীরা। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ-সহ সিপিই-কিটও দেওয়া হয় ভোট কর্মীদের। মধ্য কলকাতার প্রত্যেক বরোভিত্তিক ভোট কর্মীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা কাউন্টার। ইভিএম-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় কিট বিতরণ করা হয় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে।
সকাল থেকে চূড়ান্ত ব্যস্ততা এবং ভোট কর্মীদের বিপুল ভিড় কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও। দক্ষিণ কলকাভার ১২ নম্বর বরোর জন্য ইভিএম-সহ প্রয়োজনীয় কিট বিতরণ করা হয় এখানে। একই সঙ্গে দেওয়া হয় কোভিড কিটও। সংগ্রহ করে স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে বসেই ইভিএম মেশিনগুলি দেখে নেন ভোট কর্মীরা। একই সঙ্গে যোধপুর পাক গালর্স স্কুল এবং বিবেকানন্দ কলেজেও একই ভাবে চলে ইডিএম মেশিন বিতরণের কাজ।
রবিবার ভোটগ্রহণ শেষে ফের শহরের এই বিতরণ কেন্দ্রগুলিতেই ইভিএম মেশিনগুলি ফেরত দিতে হবে ভোট কর্মীদের। তারপরে ২১ ডিসেম্বর সকাল থেকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে শুরু হবে ভোট গণনা। জানা গিয়েছে, ১ এবং ২ নম্বর বরোর জন্য ভোট গণনা হবে রবীন্দ্র ভারতী স্টেডিয়ামে। ৩, ৪, ৫, ৬ নম্বর বরোর জন্য ভোটগণনা হবে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। ৭ এবং ১২ নম্বর বরোর জন্য ভোট গণনা হবে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। ৮ নম্বর বরোর ভোট গণনা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিংয়ে। ৯ নম্বর বরোর ভোট গণনা হবে। ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ফর ওমেন কলেজে। ১০ এবং ১১ নম্বর বরোর ভোটগণনা হবে যথাক্রমে যোধপুর পার্ক বয়েজ এবং যোধপুর পার্ক গার্লস স্কুলে। ১৩ নম্বর বরোর ভোট গণনা হবে বড়িশা হাই স্কুলে, ১৪ নম্বর বরোর ভোট গণনা বিবেকানন্দ কলেজে, ১৫ নম্বর বরোর ভোটগনা সিস্টার নিবেদিতা জেনারেল ডিগ্রি কলেজ ফর গার্লসে এবং ১৬ নম্বর বরোর ভোট গণনা ডায়মন্ড হারবারের ব্রতচারী বিদ্যাশ্রমে। আর এই ভোট গণনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য কলকাতা পুরসভার দখল।