আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৩ আগস্ট: বগটুই কাণ্ডে চাপের মুখে রয়েছেন সাক্ষীরা। ফলে আদালতে তারা সঠিক সাক্ষ্য দিচ্ছেন না। মৃতদের পরিবারের সদস্যরাই অভিযুক্তদের চিনতে পারলেন না। ফলে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তবে মামলার শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ২১ মার্চ রাত আটটা নাগাদ রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে। ঘটনার পরেই বগটুই গ্রামে বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এক শিশু কন্যা সহ দশ জনের। এই ঘটনায় ৬০-৬৬ জনকে সাক্ষী হিসাবে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তিনজনেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। কেউ বলেছেন ঘটনার দিন ছিলাম না। কেউ বলেছেন অগ্নিসংযোগ হয়েছে, কিন্তু কারা করেছে বলতে পারব না। অভিযুক্তদের তারা চিনতে পেরেছে তবে সেটা প্রতিবেশী হিসাবে।
অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী আবু বাক্কার সিদ্দিক্কি বলেন, এখনও পর্যন্ত ছয় জনের সাক্ষ্য নেওয়া হল। এরা মূল সাক্ষী। এরা অভিযুক্তদের প্রতিবেশী হিসাবে চিনতে পেরেছে। তবে আসামী হিসাবে চিনতে পারেনি”।
সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী বলেন, “এদিন তিনজন সাক্ষী দিয়েছে। তারা ঘটনার কথা ঠিকঠাক বলেনি। তাদের কেউ কেউ বলেছেন সেদিন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি তারা আসামিদের চেনে না, প্রতিবেশী হিসাবে চেনেন। কেউ বলেছেন ঘটনার সময় পালিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে কারা ঘটিয়েছেন বলতে পারব না।
যদিও নেকলাল শেখ মাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ বলেছিলেন। কিন্তু এদিন তিনি তার প্রথম দিনের বয়ানের কণ্ঠস্বরের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। মিহিলাল শেখের মা, স্ত্রী ও শিশু কন্যা মারা গিয়েছিলেন। তিনিও এদিন সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আসামিদের চিনতে পারেননি। খুশি খাতুন বলেন, তিনি ঘটনার দিন ছিলেন না। চাপের মুখে সাক্ষ্যরা বয়ান বদলাচ্ছে। আমরা চাইব সঠিক বিচার হোক। তবে এই মামলায় কেউ সহজেই ছাড়া পাবে না”।