আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৮ জুন: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট- এর কাজ করার টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে তরুণীর ওপর চলল পাশবিক নির্যাতন। ফিল্মি কায়দায় প্রাণ বাঁচিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাড়ি ফিরে ওই তরুণী দ্বারস্থ হলো পুলিশের।
তরুণীর নাম নন্দিনী রাও। নন্দিনী সোদপুর ৩নং দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা। বাড়িতে অভাবের টানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করত নন্দিনী রাও। কাজের সুত্রেই পরিচয় হয় হাওড়া ডোমজুড়ের বাসিন্দা আরিয়ান খানের সঙ্গে। নন্দিনীকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের প্রস্তাব দিয়ে এই আরিয়ান খান গত ৩১ ডিসেম্বর নন্দিনীকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। তারপর নন্দিনীকে নোংরা কাজের প্রস্তাব দেয় ওই আরিয়ান খান ও তার মা শ্বেতা খান। কিন্তু নন্দিনী সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আরিয়ান খান ও তার মা শ্বেতা খান পাশবিক অত্যাচার শুরু করে নন্দিনীর উপর। ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন খেতে দিত না। লোহার রড দিয়ে মেরে হাত, পা ভেঙ্গে দেয়। লোহার রড দিয়ে দাঁতও ভেঙ্গে দেয়। গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানোর চেষ্টা করে। গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ারও চেষ্টা করে বহুবার। এমনকি এই ধমকিও দেওয়া হয় যে ঈদের দিন তাকেও কুরবানী দেবে। ০৫/০৬/২৫ তারিখ শ্বেতা খান ও তার মেয়ে জোয়া খান প্রচণ্ড মারধর করে এবং গোপনাঙ্গে দা দিয়ে আঘাত করে।
নন্দিনী গত ০৬/০৬/২৫ তারিখে কোনো ভাবে ভোরবেলা পালিয়ে বাড়িতে আসে। এই মুহূর্তে সে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তি। সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে প্রতি মুহূর্তে। এই পুরো ঘটনা দেখে প্রতিবেশীদের দাবি, এই সমাজে আজও কিছু এমন মানুষ আছে তা ভাবতে পারছি না! তবে প্রশাসন ও আইনি ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। পুলিশও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।অপরাধীদের চরমতম শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে যেন কোনো মেয়ের সঙ্গে এইরকম টা না হয় এই কামনা করি।