মন্দির খুললেও ভক্তের দেখা নেই, সমস্যায় পুরোহিতরা

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ জুন: প্রায় আড়াই মাস লকডাউনের কারনে বন্ধ ছিল সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছে, তাতে খুশি পুরোহিতরা। তবে, মন্দির খুললেও ভক্তদের সংখ্যা কম। পুরোহিতরা মন্দিরে বসে থাকলেও ভক্তদের প্রায় দেখা নেই। ভক্তদের দানের অর্থ দিয়েই সংসার চলে তাদের। ভক্তরা না আসায় সমস্যায় পড়েছেন রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় অবস্থিত কালিমন্দিরের পুরোহিতরা। সকাল সন্ধ্যায় মন্দিরে পুজো দিয়ে চলে যেতে হচ্ছে তাদের।

রায়গঞ্জ ব্লকের কর্নজোড়ায় অবস্থিত মোটর কালি মন্দির। এই অসীম চ্যাটার্জি ও দীপক চক্রবর্তী নামে দুই জন পুরোহিত মন্দিরে পুজো করেন। একজন পুরোহিত এক সপ্তাহ করবে অন্য আরেকজন পুরোহিত তার পরের সপ্তাহ করবেন। এই ভাবে ভাগ করা আছে। আগে প্রতি মাসে মন্দির থেকে যা রোজগার হত তাতে করে ওই দুজন পুরোহিতের সংসার চলে যেত। মাস গেলে এক এক জনের আয় হত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তাতে দুজন পুরোহিতের সংসার ভালোই চলে যেত। কিন্তু এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। কারন মন্দির খোলা হলেও ভক্তরা তেমন আসছেন না। ফলে চরম সমস্যায় পরেছে মোটর কালি মন্দিরের পুরোহিতরা।

পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন পুরোহিতরা। দুই পুরোহিত অসীম চ্যাটার্জি ও দীপক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে মন্দির থেকে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা রোজগার হত। কিন্তু এখন তা দাঁড়িয়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। ভক্তরা না আসার কারনেই এই সমস্যা দাঁড়িয়েছে। মন্দির খোলা নিয়ে সরকারি নির্দেশ দিয়েছে তাতে খুশি হয়েছিলাম যে এখন কিছু রোজগার হবে। কিন্তু নিরাশ হয়েই থাকতে হচ্ছে। ভক্তরা পুজো দিতে আসছেন না। ফলে রোজগারও হচ্ছে না। এই অবস্থায় সংসার চালাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে যা অবস্থায় ছিলাম এখন সেই অবস্থায় আছি বলে জানান অসীম চ্যাটার্জি ও দীপক চক্রবর্তী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *