স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৩ মে: লকডাউনের জেরে দুমাস বন্ধ থাকার পর দোকান খুললেও করোনার আতঙ্কেই ব্যবসা নেই রায়গঞ্জ শহরের কাপড়ের দোকানগুলিতে। লকডাউনে চৈত্র সেলের বাজার ছিল বন্ধ, ২১ মে সরকারি নির্দেশে দোকান খোলা হলেও খদ্দেরের দেখা নেই। আশা ছিল ইদের জন্য বেচাকেনা হবে কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাও পন্ড করে দিয়েছে। আর মাত্র দুদিন বাকি ইদের, পাঁচদিন বাকি জামাইষষ্ঠীর। এরমধ্যেও কোনও কাপড়ের দোকানেই দেখা নেই খদ্দেরের। ফলে দোকানের কর্মচারী ও খরচ সামলে ব্যাবসা চালানোই দায় হয়ে গিয়েছে রায়গঞ্জ শহরের কাপড়ের ব্যাবসায়ীদের।
২১ মে থেকে দোকান খোলার অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রায়গঞ্জ সহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে দোকানপাট খুললেও করোনা সংক্রমের আতঙ্কে শহর সংলগ্ন গ্রাম বা শহরতলি থেকে লোকজন রায়গঞ্জে প্রবেশ করছে না। ফলে একপ্রকার দোকান খুলে মাছি তাড়াতে হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের। রায়গঞ্জের বিশিষ্ট কাপড়ের ব্যাবসায়ী অমিতাভ মন্ডল জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী ২১ মে দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ভাবেছিলাম ইদ ও জামাইষষ্ঠীর বাজার ভালো হবে। কিন্তু আমফানের দাপটে গতকাল পর্যন্ত দিনভর বৃষ্টি থাকায় লোকজন বের হতেই পারেননি। আজও দোকানে নেই কোনও খদ্দের।
দোকান খুললেও খদ্দেরের দেখা না মেলায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তারা। কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দোকানের খরচ চালিয়ে ব্যাবসা করাই সম্ভব হচ্ছে না। করোনার লক ডাউনে মার খেয়েছে চৈত্র সেল ও বাংলা নববর্ষের বাজার। এখন দোকান খুললেও খদ্দেরের অভাবে পথে বসেছেন তাঁরা।