স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৮ জুলাই: তিনমাস ধরে লকডাউনে বন্ধ ছিল সমস্ত যানবাহন চলাচল। লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় রাস্তায় বের হচ্ছেন না সাধারন মানুষ। কিছু মানুষ রাস্তায় বের হলেও উঠছেন না অটোরিকশাতে। ফলে চরম আর্থিক অনটন ও দুর্ভোগে পড়েছেন রায়গঞ্জ শহরের অটোরিকশা চালকেরা। যাত্রী না হওয়ায় রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাদের। পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার প্রতিপালন করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে অনেক অটোরিকশা চালক ও মালিক পেশা বদল করে কেউ সব্জি কেউ বা মাছ বিক্রি করে সংসারের খরচ জোগাড়ের চেষ্টা করছেন। এখন লকডাউন শিথিল হলেও রাস্তায় অটোরিকশা নিয়ে বের হলেও যাত্রীর অভাবে খালি হাতেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন। তিনমাস পরে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে রাস্তায় চলাচল শুরু হয় বেসরকারি যানবাহনের। রায়গঞ্জ শহর থেকে কর্নজোড়া সদর হয়ে বাঙালবাড়ি, হেমতাবাদ পর্যন্ত রুটে চলাচল করে রায়গঞ্জের অটোরিকশাগুলি। কিন্তু করোনা আবহের কারনে আতঙ্কিত সাধারন মানুষ তেমনভাবে যানবাহনগুলিতে যাতায়াত করছেন না। বিশেষ করে দুএকজন অটোরিকশা চালকের শরীরে করোনার সংক্রমনের হদিশ মেলায় আতঙ্কিত রায়গঞ্জ শহরবাসী অটোরিকশাতে যাতায়াত করাই প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। একে অটোরিকশাতে বসলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না। আর সেকারনেই অটোরিকশাতে চলাচল করা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু অটোরিকশা চালক ও মালিক।
রায়গঞ্জ শহরের অটোরিকশা চালকেরা জানালেন, রাস্তায় অটোরিকশা নিয়ে বের হচ্ছি কিন্তু যাত্রী হচ্ছেনা। ফলে রোজগার একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমাদের অনেকেরই ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে অটোরিকশা নেওয়া আছে, সেই ব্যাঙ্ক লোন পরিশোধ করতে পারছিনা। চরম দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এভাবে চলতে থাকলে না খেতে পেয়েই মরতে হবে তাদের এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জের অটোরিকশা চালকেরা।