জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৩০ আগস্ট:
শনিবার থেকে কংসাবতী ও শিলাবতী সহ ঘাটালের বিভিন্ন নদীতে জল কমতে থাকায় বন্যার আশঙ্কা যেমন কমেছে তেমনি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জলবাহিত রোগের। নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে এবং জলাধারগুলি থেকে ছাড়া জলে ঘাটাল, দাসপুর ও ডেবরা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ঘাটাল পুরসভার বারোটি ওয়ার্ড সহ এই সমস্ত এলাকার প্রায় পঁচাত্তরটি গ্রাম ন’দিন ধরে জলবন্দি হয়েছিল। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে জল কমতে থাকায় স্বস্তি ফিরেছে কয়েক হাজার জলবন্দি মানুষের মধ্যে। তবে এখনো ওই সব এলাকার বাসিন্দারা নৌকায় করে যাতায়াত করছেন।

কয়েক দশক ধরে দেখা গেছে ঘাটালের প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে বন্যার জল সরে যাওয়ার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যায় এবং জল বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও প্লাবিত এলাকার পানীয় জলের নলকূপ ও নল বাহিত জলের ট্যাপগুলি জলের তলায় ডুবে রয়েছে। বন্যার জল সম্পূর্ণ সরে যাওয়ার পর সেগুলি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও পৌরসভার পক্ষ থেকে সংস্কার করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে।
ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার পঞ্চায়েত গুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে আশা কর্মীরা সমস্ত এলাকায় গিয়ে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো প্রতিশ্রুত জল ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। শনিবার থেকে বন্যার জল কমতে থাকায় এবং আর ভারী বৃষ্টি না হলে সমস্ত এলাকা থেকে দুই একদিনের মধ্যেই জল সম্পূর্ণ সরে যাবে বলে ঘাটালের মহকুমা সেচ আধিকারিক সুমিত কুমার দাস জানিয়েছেন।

